আফগানিস্তান-পাকিস্তানের প্রধান সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ

আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক দ্রুত অবনতি হওয়ার পর তোরখাম সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া হয়।

ছবি: রয়টার্স

আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে প্রধান সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ রাখা হয়েছে বলে উভয়পক্ষের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। সীমান্তের ওই ট্র্যানজিট পয়েন্ট থেকে গুলির শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারের সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্ক দ্রুত অবনতি হওয়ার পর রোববার সন্ধ্যার দিকে তোরখাম সীমান্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া হয়।

তবে পাকিস্তান না আফগানিস্তানের কর্তৃপক্ষ খাইবার গিরিপথের নিকটবর্তী এই ক্রসিং বন্ধ করে দিয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা পরিষ্কার হয়নি বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

সাবেক সামরিক ঘাঁটিকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিণত করবে তালেবান

আফগানিস্তানের নানগারহার প্রদেশ পুলিশের মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, “সীমান্ত বন্ধ। আমরা পরে বিস্তারিত জানাবো।”  

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় সীমান্তটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্যের জন্য পাকিস্তান সামরিক বাহিনী, পুলিশ ও সরকারের মুখপাত্রদের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স। তবে ওই অঞ্চলে দায়িত্বরত পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর দুই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সীমান্ত বন্ধ আছে এবং দুই পক্ষের মধ্যে কিছু গুলি বিনিময়ও হয়েছে। 

পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে ২৬০০ কিলোমিটার সীমান্ত আছে। এই সীমান্ত নিয়ে বিতর্ক কয়েক দশক ধরে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে বিরোধের কারণ হয়ে আছে। 

চারদিকে স্থলবেষ্টিত আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে পণ্য ও ভ্রমণার্থী আসা-যাওয়ার প্রধান পথ এই তোরখাম স্থল বন্দর।

পাকিস্তানের ল্যান্ডি কোটালের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী শিনওয়ারি বলেন, রোববার সন্ধ্যা থেকে সীমান্তটি বন্ধ আছে এবং সোমবার ভোরে গোলাগুলি হয়েছে।

“ভোরে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাই আমরা। দুই দেশের সেনারা লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়েছে ভেবে আমরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি,” বলেন তিনি।

দুই দশক ধরে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সরকার থাকার সময় থেকে শুরু করে ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পরও সীমান্তে দুই প্রতিবেশীর সংঘাত লেগেই আছে।