পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থি বিদ্রোহী অধ্যুষিত দুটি অঞ্চল দোনেস্ক ও লুহান্সকে স্বায়ত্ত্বশাসন মঞ্জুর করেছে ইউক্রেইন সরকার। ওই অঞ্চলের বিদ্রোহীদের সাধারণ ক্ষমাও ঘোষণা করা হয়েছে।
Published : 16 Sep 2014, 10:57 PM
বিবিসি’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৫ সেপ্টেম্বর রাশিয়া ও পশ্চিমা বিশ্বের সম্মতিতে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর উত্তেজনা প্রশমণের অংশ হিসেবেই মঙ্গলবার স্বশাসনের আইনে স্বাক্ষর করেন প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেনকো।
তিনি বলেন, “দোনেস্ক এবং লুহান্সকের কয়েকটি অংশে এই বিশেষ মর্যাদা দিয়ে পাস করা আইনে তিন বছরের জন্য ইউক্রেইনের সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখন্ডতা এবং স্বাধীনতার নিশ্চয়তা থাকবে”।
ওদিকে, ইইউ ও ইউক্রেইনের মধ্যে অভ্যন্তরীণ চুক্তি সম্পাদনে পৃথক প্রস্তাব পাস করেছে দুই পক্ষের পার্লামেন্ট।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ইউক্রেইনের সখ্য রাশিয়ার নাখোশ হওয়ার অন্যতম কারণ। এর ফলেই মস্কোর সম্মতিতে পূর্ব ইউক্রেইনে বিচ্ছিন্নতাবাদ ছড়িয়ে পড়ে।
ইউক্রেইনের কাছ থেকে গত মার্চে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়া ক্রিমিয়া অঞ্চলে আরো সেনা সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।
ওই অঞ্চলে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি ও ইউক্রেইন পরিস্থিতিকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা বিশ্বের সামরিক তৎপরতার পরিপ্রেক্ষিতে সেখানে সেনা মোতায়েন করা প্রয়োজন বলে জানান দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ।
গত এপ্রিলে পূর্ব ইউক্রেইনের দোনেস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে কয়েকটি শহর দখল করে রুশপন্থি বিদ্রোহীরা।
রাশিয়া ভারী অস্ত্র, সৈন্য দিয়ে বিদ্রোহীদের সহায়তা দিচ্ছি বলে অভিযোগ ইউক্রেইন ও পাশ্চিমা দেশগুলোর।
পূর্বাঞ্চলে কয়েক মাস ধরে চলা দখলদারিত্বের লড়াইয়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে তিন লক্ষাধিক বাসিন্দা।
কিয়েভ প্রশাসন ও রুশপন্থিদের দ্বন্দ্বের সূত্র ধরে গত ১৭ জুলাই সেখানে ২৯৮ জন যাত্রী নিয়ে ভূপাতিত হয় মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের একটি বিমান। ঘটনার জন্য পরস্পরকে দায়ী করে বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনী।