মুম্বাই বন্দরে ভারতীয় নৌবাহিনীর সিন্ধুরক্ষক নামের ডুবোজাহাজের বিস্ফোরণে আটকা পড়া নাবিকেরা মারা গেছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী একে অ্যান্টনি।
Published : 14 Aug 2013, 11:44 AM
অ্যান্টনি বলেন, রাশিয়ার তৈরি আইএনএস সিন্ধুরক্ষক ডুবোজাহাজের ভেতরে থাকা নাবিকেরা মারা গেছেন। তবে ঠিক কতজন মারা গেছেন বা ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে বিস্তারিত কোনো তথ্য তিনি দেননি বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
এর আগে বিস্ফোরণের পর ডিজেল-বিদ্যুতে পরিচালিত ভারতের সবচেয়ে আধুনিক ডুবো জাহাজটিতে আগুন ধরে গেলে ১৮ নাবিক আটকা পড়েছে বলে জানানো হয়।
নৌবাহিনীর মুখপাত্র পিভিএস সতিশ জানান, “ভেতরে বেশ কয়েকজন আটকা পড়েছেন। আমরা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছি। আমাদের ধারণা আটকা পড়া নাবিকের সংখ্যা ১৮।”
তিনি আরো বলেন, “তাদের উদ্ধার করার আগ পর্যন্ত আমরা তৎপরতা চালিয়ে যাবো।”
আইএনএস সিন্ধুরক্ষক নামের ওই ডুবোজাহাজের ভেতরের বিস্ফোরণ সম্ভবত দুর্ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন সতিশ।
বুধবার ভোরে উচ্চনিরাপত্তা বেষ্টিত মুম্বাইয়ের সেনা পোতাশ্রয়ে এই ঘটনা ঘটেছে।
ডুবোজাহাজটির ভেতরে থাকা কারো সঙ্গেই এখনো পর্যন্ত যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এরফলে এখনো নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি, দুর্ঘটনার সময় কোনো নাবিক জীবন বাঁচাতে পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল কিনা।
তবে আহত বেশ কয়েকজন সামরিক সদস্যকে মুম্বাইয়ের নেভি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে তারা আইএনএস সিন্ধুরক্ষক ডুবোজাহাজের কেউ কি না তা জানা যায়নি।
নৌবাহিনীর ডুবুরিরা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করলেও এখনো ডুবোজাহাজটির অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়নি।
নৌবাহিনীর বিবৃতিতে জানা যায়, ডুবোজাহাজটির মূল্য ৪৮০ কোটি রূপি।
বর্তমানে ভারতের ২০টি ডুবোজাহাজ প্রয়োজন হলেও তাদের রয়েছে ১৪টি ডুবোজাহাজ।
ইন্টারনেটের সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে ওই বিস্ফোরণের যেসব ছবি দেয়া হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে নৌবাহিনীর পোতাশ্রয়ে যে অংশে ডিজেল-বৈদ্যুতিক ডুবোজাহাজগুলোকে নোঙর করে রাখা হয় সেখানে বিশাল আগুনের গোলক আকাশে দিকে ছড়িয়ে পড়েছে।
আইএনএস সিন্ধুরক্ষককে ২০১২ সালে রাশিয়া থেকে আরো উন্নত করে আনা হয়েছে বলে রাশিয়ার সংবাদমাধ্যমসূত্রে জানা গেছে।