প্রশান্ত মহাসাগরে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে সৃষ্ট সুনামি টোঙ্গায় ‘নজিরবিহীন বিপর্যয়’ ডেকে এনেছে বলে জানিয়েছে সরকার।
Published : 18 Jan 2022, 05:30 PM
সুনামি পরিস্থিতি সম্পর্কে টোঙ্গা সরকার মঙ্গলবার এই প্রথম একটি বিবৃতি দিয়ে একথা জানালো। সুনামিতে দুইজন স্থানীয় বাসিন্দা এবং এক ব্রিটিশ নাগরিকের মৃত্যুর খবরও নিশ্চিত করে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
শনিবার রাজধানী নুকু’আলোফা থেকে প্রায় ৬৫ কিলোমিটার দূরে মহাসাগরের তলদেশে অগ্ন্যুৎপাত এবং এর প্রভাবে সৃষ্ট সুনামির ঢেউ টোঙ্গায় আছড়ে পড়ে।
এরপর দেওয়া বিবৃতিতে সর্বশেষ তথ্য দিয়ে সরকার জানিয়েছে, ছোট, ছোট এবং বিশেষত, প্রত্যন্ত কিছু দ্বীপ বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একটি দ্বীপের সব বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গেছে। আরেকটি দ্বীপের মাত্র দুটো বাড়ি অক্ষত আছে।
বিবিসি জানায়, আগ্নেয়গিরি থেকে ছাই উদগীরণের কারণে ত্রাণ তৎপরতা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দ্বীপগুলোর মধ্যকার যোগাযোগব্যবস্থাও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তাছাড়া, টোঙ্গার সঙ্গে বহির্বিশ্বের যোগাযোগও এখন প্রায় বিচ্ছিন্ন। ইন্টারনেট সংযোগও বিঘ্নিত হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার।
বিবৃতিতে সরকার বলেছে:
*সুনামিতে ৬৫ বছর বয়সী এক নারী, ৪৯ বছরের এক পুরুষ এবং একজন ব্রিটিশ নারী নিহত হয়েছেন।
*প্রধান দ্বীপ টোঙ্গাটাপুর কয়েক ডজন ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
* সুনামিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দ্বীপগুলো থেকে মানুষজনকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
*আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের কারণে পানি সরবরাহ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে।
*বহু ফ্লাইট আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে এবং সমুদ্র পরিবহন রুটেও চলাচল ব্যাহত হয়েছে।