যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে অস্ট্রেলিয়াও আগামী বছর চীনে হতে যাওয়া শীতকালীন অলিম্পিকসে সরকারি কর্মকর্তা না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
Published : 08 Dec 2021, 03:08 PM
বুধবার অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, তার দেশ বেইজিং অলিম্পিক গেইমস কূটনৈতিকভাবে বয়কটে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে।
চীনের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্রের আরও কয়েকটি মিত্র দেশও কাছাকাছি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির দেশ নিজেদের মধ্যকার উত্তেজনা প্রশমনে আলোচনায় বসার কয়েক সপ্তাহ পর সোমবার যুক্তরাষ্ট্র চীনের মানবাধিকার লংঘন ও শিনজিয়াংয়ে ‘নৃশংসতার’ প্রতিবাদে ফেব্রুয়ারিতে হতে যাওয়া অলিম্পিকসে সরকারি কর্মকর্তা পাঠানো হবে না বলে জানায়।
এর প্রত্যুত্তরে চীন বলে, যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের এ সিদ্ধান্তের জন্য ‘মূল্য দিতে হবে’; ওয়াশিংটনের পদক্ষেপের পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ার করেছে বেইজিং। যদিও পাল্টা পদক্ষেপ কী ধরনের হতে পারে, সে বিষয়ে কিছু জানায়নি তারা।
স্কট মরিসন বলেন, শিনজিয়াংয়ে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ ও অস্ট্রেলিয়া থেকে পণ্য আমদানি সীমিত করতে বেইজিং যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা নিয়ে চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক পর্যায়ে যোগাযোগ করতে তাদের বেশ বেগ পেতে হচ্ছে; এ কারণেই বুধবার শীতকালীন অলিম্পিকসে কর্মকর্তা না পাঠানোর এ সিদ্ধান্ত এসেছে।
মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগসহ বেশ কয়েকটি ইস্যু তুলেছে ক্যানবেরা, কিন্তু বেইজিংয়ের দিক থেকে সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না, সিডনিতে সাংবাদিকদের এমনটাই বলেছেন অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী।
“তাই অস্ট্রেলিয়ার সরকারি কর্মকর্তারাও যে অলিম্পিক গেইমসে অংশ নিতে চীনে যাবেন না, তাতে বিস্মিত হওয়ার কিছু নেই,” বলেছেন তিনি।
ক্যানবেরায় অবস্থিত চীন দূতাবাসের এক মুখপাত্র বলেছেন, চীন-অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্কের বর্তমান দুরাবস্থার দায় অস্ট্রেলিয়ারই।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার অলিম্পিক কমিটি বলেছে, কূটনৈতিক বয়কটের এ সিদ্ধান্ত অলিম্পিক গেইমসে অংশ নিতে প্রস্তুতি নেওয়া অ্যাথলেটদের ওপর প্রভাব ফেলবে না।
যুক্তরাজ্য ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলা অলিম্পিকস কূটনৈতিকভাবে পুরোপুরি বয়কট না করে সীমিত পরিমান সরকারি কর্মকর্তা পাঠানোর কথা ভাবছে বলে বুধবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে টেলিগ্রাম।
তবে শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি কূটনৈতিক বয়কটের সিদ্ধান্তও আসতে পারে, বলেছে তারা।
জাপান বেইজিং অলিম্পিকসে মন্ত্রিসভার সদস্যদের না পাঠানোর কথা বিবেচনা করছে বলে নাম-পরিচয়বিহীন সরকারি কর্মীদের বরাত দিয়ে বুধবার জানিয়েছে সানকেই সিম্বুন।
যুক্তরাষ্ট্র তাদের কূটনৈতিক বয়কটের পেছনে শিনজিয়াংয়ে সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর চীনের নিপীড়নকেই প্রধান কারণ হিসেবে হাজির করেছে; বেইজিং অবশ্য শুরু থেকেই তার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।