অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ অ্যান্টিবডি থেরাপি আক্রান্তদের শরীরে রোগের উপসর্গ কমাতে ব্যর্থ বলে প্রামণিত হয়েছে।
Published : 15 Jun 2021, 10:46 PM
বৃহৎ আকারে ট্রায়ালের পর অ্যাস্ট্রাজেনেকা কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার ব্যর্থতার এ তথ্য জানায়। কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে টিকার বিকল্প খুঁজতে এই পরীক্ষা চালানো হয়।
গবেষণায় দুই ধরনের অ্যান্টিবডি মিশিয়ে এই থেরাপি কতটা কার্যকর তা পরীক্ষার জন্য আট দিন আগে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন এমন প্রাপ্ত বয়স্কদের ককটেল অ্যান্টিবডি থেরাপি দেওয়া হয়।
গবেষণার ফলে দেখা গেছে, প্লাসিবোর সঙ্গে তুলনা করলে এজেডডি৭৪৪২ থেরাপি রোগের উপসর্গ ৩৩ শতাংশ কমাতে পারে। কিন্তু পরিসংখ্যানের দিক দিয়ে এই ফল উল্লেখ করার মত নয়।
যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১,১২১ জন এই গবেষণায় অংশ নেন। যাদের বেশিরভাগ ট্রায়ালের শুরুতে ভাইরাস মুক্ত হয়েছিলেন।
কয়েক ধরনের অ্যান্টিবডি মিশিয়ে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তদের চিকিৎসা করা যায় কিনা বা রোগ প্রতিরোধ করা যায় কিনা তা নিয়ে আরও পাঁচটির বেশি ট্রায়াল চলছে।
সেগুলোর মধ্যে একটি ট্রায়াল ওই সব ব্যক্তিদের উপর চালানো হচ্ছে যাদের ক্যান্সার বা অঙ্গ প্রতিস্থাপনের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল। এ ধরনের ব্যক্তিদের বেলায় টিকা খুব একটা কার্যকর প্রতিরোধ গড়তে পারে না।