যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী, কৃষ্ণাঙ্গ এবং দক্ষিণ এশীয় বংশোদ্ভূত ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়ে ইতিহাস তো গড়েই ফেলেছেন কমলা হ্যারিস। তার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম ‘সেকেন্ড জেন্টেলম্যান’ হয়ে ইতিহাস গড়লেন তার স্বামীও।
Published : 21 Jan 2021, 02:45 AM
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের স্ত্রীকে বলা হয় ফার্স্ট লেডি। আর ভাইস-প্রেসিডেন্টের স্ত্রীকে বলা হয় সেকেন্ড লেডি। কিন্তু এবার ভাইস প্রেসিডেন্ট একজন নারী। ফলে ‘সেকেন্ড লেডি’ বলে আর কেউ থাকছেন না।
আর তাই যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে এবার প্রথম ‘সেকেন্ড জেন্টেলম্যান’ হলেন হ্যারিসের স্বামী ডগলাস এমহফ। সিএনএন জানায়, এ সপ্তাহের শুরুর দিকেই এমহফ তার এই নতুন ভূমিকা নিয়ে টুইট করেছিলেন।
তাতে তিনি লেখেন, “সামনের দিন এগিয়ে আসছে, আমিও সেকেন্ড জেন্টেলম্যানের নতুন ভূমিকা নিতে প্রস্তুত। আমার দায়িত্ববোধও আছে। কিন্তু আমি জানি পরিবার বন্ধুবান্ধবসহ আরও অনেকের সমর্থন ছাড়া আমরা আজ এখানে আসতে পারতাম না। সামনের অধ্যায়ে পা বাড়ানোর আগে আমাদেরকে এই সমর্থনের জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।”
এমহফ একজন আইনজীবী। ২০১৪ সালে কমলা হ্যারিস ও ডগলাস এমহফের বিয়ে হয়। এটি কমলা হ্যারিসের প্রথম বিয়ে হলেও স্বামী ডগলাসের ছিল দ্বিতীয় বিয়ে। এমহফের জন্ম নিউ ইয়র্কে। তবে তিনি নিউ জার্সি এবং লস এঞ্জেলেসে বেড়ে উঠেছেন। এমহফের আগের পক্ষের দুই সন্তান আছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরই কমলা হ্যারিস তার কোটি ইনস্টাগ্রাম অনুসারীর কাছে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন স্বামীকে। আর এমহফও সবসময়ই হ্যারিসকে তার ক্যারিয়ার এগিয়ে নিতে সমর্থন, সহযোগিতা করে এসেছেন; বিশেষ করে তার নির্বাচনে লড়ার সময়।
এখন হ্যারিস ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর ‘সেকেন্ড জেন্টেলম্যান’ হিসাবে এমহফের দায়িত্ব কি হয় সেটিই দেখার বিষয়।
সাধারণত, হোয়াইট হাউজ সাজানো, বিভিন্ন সরকারি উৎসব, অনুষ্ঠান আয়োজন করার মতো কাজ ছাড়াও সমাজ কল্যাণমূলক কিছু কাজ করে থাকেন ফার্স্ট লেডিরা। যেমন: সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্ত্রী মিশেল শিশুদের মুটিয়ে যাওয়া রোধে কাজ করেছিলেন। আবার ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া সাইবার বুলিং রোধে কাজ করেছিলেন।