ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশি সরকারের কাছে সাহায্য চাওয়ার অভিযোগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদ থেকে আনুষ্ঠানিক তদন্তের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে ট্রাম্পকে অভিশংসনের মুখে পড়তে হতে পারে।
Published : 25 Sep 2019, 10:38 AM
ডেমোক্রেটিক নিয়ন্ত্রিত প্রতিনিধি পরিষদের নেতা স্পিকার ন্যান্সি পেলসি মঙ্গলবার ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্তের ঘোষণা দিয়ে বলেন, “নিজের রাজনৈতিক সুবিধার জন্য ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্টকে ফোন করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলার কথা এ সপ্তাহে তিনি স্বীকার করেছেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অবশ্যই এর জবাব দিতে হবে।
“কারণ, এর মাধ্যমে তিনি আইন লঙ্ঘন করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি একজন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের সাংবিধানিক দ্বায়িত্ব পালনেও গাফিলতি করেছেন।”
সম্প্রতি ফাঁস হওয়া এক গোয়েন্দা তথ্যে ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভ্লদিমির জেলেনস্কির কথোপকথ উঠে আসে বলে জানায় বিবিসি।
যদিও দুই নেতার মধ্যে ঠিক কী কথা হয়েছে তা এখনো সুস্পষ্ট করে জানা যায়নি।
তবে ডেমক্রেটিকদের অভিযোগ, ট্রাম্প সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার ছেলে হান্টারের বিরুদ্ধে উঠা একটি দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করতে ইউক্রেইন সরকারকে চাপ দিয়েছেন। কথা মত কাজ না করলে ট্রাম্প এমনকি দেশটিকে দেওয়া মার্কিন সামরিক সহায়তা প্রত্যাহার করে নেওয়ার
হুমকিও দিয়েছেন।
ডেমোক্রেটিক নেতা এবং আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য শক্ত প্রতিপক্ষ বাইডেনকে নিয়ে ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপ করার কথা স্বীকার করলেও কোনো ষড়যন্ত্র তিনি করেননি বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প।
“সামরিক সাহায্য প্রত্যাহারের হুমকি দিয়ে আমি শুধুমাত্র ইউরোপের দেশগুলো থেকে সহায়তার হার বাড়ানোর চেষ্টা করেছিলাম।”
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের ৭৪তম সাধারণ অধিবেশন চলছে। অধিবেশনে যোগ দিতে বিশ্বের বেশিরভাগ নেতাই এখন নিউ ইয়র্কে।
এর মধ্যে তার বিরদ্ধে অভিশংসন তদন্ত শুরুর ঘোষণা দিয়ে ডেমোক্র্যেটরা ‘ইচ্ছা করে জাতিসংঘে তার পথচলা ধ্বংস করতে এবং তাকে অপমান করতে চাইছে’ বলে মনে করেন ট্রাম্প।
একের পর এক টুইটে তিনি বলেন, “তারা এমনটি ওই ফোনালাপে কী কথা হয়েছে সেটার প্রতিলিপি দেখেনি পর্যন্ত। এটা সম্পূর্ণই ‘উইচ হান্ট’।”
বুধবার ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার কথোপকথের প্রতিলিপি প্রকাশের ঘোষণা দিয়ে বলেন, “আমরা সম্পূর্ণ নিয়মের মধ্যে থেকে কথা বলেছি।”
....You will see it was a very friendly and totally appropriate call. No pressure and, unlike Joe Biden and his son, NO quid pro quo! This is nothing more than a continuation of the Greatest and most Destructive Witch Hunt of all time!
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) September 24, 2019