যুক্তরাষ্ট্রে জেফরি এপস্টেইনের বাড়িতে এক নারীকে ‘যৌন নিপীড়ন করেছিলেন’ প্রিন্স অ্যান্ড্রু।
Published : 11 Aug 2019, 04:09 PM
মার্কিন ধনকুবের ও বিনিয়োগকারী জেফরি এপস্টেইন নিউ ইয়র্কের একটি কারাগারে শনিবার আত্মহত্যা করেন। যৌনদাসী পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিচার চলছিল।
শুক্রবার এই মামলা নিয়ে আদালতের বেশ কিছু নথি প্রকাশ পায়।
বিবিসি জানায়, ওই নথি থেকে জোহানা জোবার্গ নামে এক নারী প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে তার স্তন স্পর্শ করার অভিযোগের কথা জানা যায়।
ওই নারীর অভিযোগ, ২০০১ সালে এপস্টেইনের ম্যানহাটানের অ্যাপার্টমেন্টে তিনি একটি সোফায় বসে থাকার সময় প্রিন্স অ্যান্ড্রু ওই কাণ্ড করেন।
“আমার যতদূর মনে পড়ে কেউ একজন ছবি তোলার কথা বলেছিলেন। তারা আমাদের একটি সোফায় গিয়ে বসতে বলেন। অ্যান্ড্রু ও ভার্জিনিয়া (জুফ্রে) সোফার উপর গিয়ে বসেন এবং তারা পুতুলটি কোলে নিয়ে বসেন। পুতুলটি ভার্জিনিয়ার কোলে ছিল।
“তাই আমি অ্যান্ড্রুর পায়ের উপর বসি। আমার নিজের উপর বিশ্বাস ছিল। তারা পুতুলের হাত ভার্জিনিয়ার স্তনের উপর রাখে এবং দেখাদেখি অ্যান্ড্রু আমার স্তনের উপর তার হাত রাখেন।”
এপস্টেইনের যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন দাবি করা ভার্জিনিয়া জুফ্রের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করতে গিয়ে আদালতে যেসব নথিপত্র জমা পড়ে সেগুলোর একটি থেকেই এই তথ্য বেরিয়ে আসে বলে জানায় বিবিসি।
ভার্জিনিয়া অবশ্য এপস্টেইনের বিরুদ্ধে নয় বরং তার সাবেক বান্ধবী গিসলেইন ম্যাক্সওয়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন।
গিসলেইন ব্রিটিশ ধনকুবের রবার্ট ম্যাক্সওয়েলের মেয়ে।
ভার্জিনিয়ার অভিযোগ, ম্যাক্সওয়েল তার ওই সময়ের ছেলেবন্ধু এপস্টেইন এবং তার ধনী বন্ধুদের জন্য অপ্রাপ্ত বয়সের মেয়ে যোগাড় করে দিতেন।
ডিউক অব ইয়র্ক প্রিন্স অ্যান্ড্রুও তার সঙ্গে জোর করে সহবাস করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন ভার্জিনিয়া।
২০১৫ সালে প্রথম এই অভিযোগ উঠার পর বার্কিংহাম প্যালেস থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছিল।
এপস্টেইনের আত্মহত্যার পর আবারও অভিজাত মহলের নারী কেলেঙ্কারির খবর সামনে চলে এসেছে।
যার প্রেক্ষিতে শনিবার বার্কিংহাম প্যালেস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের বিষয়, যেটার সঙ্গে ডিউক অব ইয়র্কের সম্পর্ক নেই।
“অপ্রাপ্ত বয়স্ক শিশুদের সঙ্গে অন্যায় কিছু করার যেসব কথা বলা হচ্ছে সেগুলো স্পষ্টত অসত্য।”