সুদানের ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিল ও বিরোধী জোট দেশকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগির একটি রাজনৈতিক চুক্তিতে উপনীত হয়েছে।
Published : 17 Jul 2019, 03:30 PM
চলতি মাসের শুরুতে দুই পক্ষের মধ্যে হওয়া সমঝোতার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মঙ্গলবার রাতভর শেষ মুহুর্তের আলোচনার পর বুধবার রাজধানী খার্তুমে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
আফ্রিকান ইউনিয়নের মধ্যস্থতাকারীদের উপস্থিতিতে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
কয়েক সপ্তাহের তুমুল জনবিক্ষোভের পর সুদানের সেনাবাহিনী দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ওমর আল-বশিরকে উৎখাত করার পর আফ্রিকার এ দেশটিতে যে টালমাটাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল, সামরিক কাউন্সিল ও বিরোধীদের এ চুক্তি সেখান থেকে উত্তরণের পথ দেখাবে বলে আশা পর্যবেক্ষকদের।
“আমরা একটি স্থিতিশীল স্বদেশ চাই, কেননা আমরা অনেক ভুগেছি,” চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের পর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন বিরোধী ফোর্সেস অব ফ্রিডম অ্যান্ড চেইঞ্জ কোয়ালিশনের নেতা ইব্রাহিম আল-আমিন।
ইথিওপিয়ার মধ্যস্থতাকারী মাহমুদ দিরির বলেছেন, সুদানের এখন প্রয়োজন দরিদ্র রাষ্ট্রের তকমা থেকে বেরিয়ে আসা। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে তাদের ‘সন্ত্রাসবাদের সহযোগী’ দেশের তালিকা থেকে সুদানকে সরিয়ে নেওয়ারও আহ্বান জানান।
‘রাজনৈতিক চুক্তি’ করলেও উভয় পক্ষই এখন একটি সাংবিধানিক ঘোষণা নিয়ে কাজ করছে। শুক্রবার দুই পক্ষ ওই ঘোষণায় স্বাক্ষর করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
চুক্তির বিস্তারিক জানা যায়নি। তবে চলতি মাসের শুরুতে হওয়া সমঝোতায় নতুন নির্বাচনের জন্য তিন বছর কিংবা আরেকটু বেশি সময় নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। এ সময়ে সামরিক বাহিনী ও সম্মিলিত বিরোধী জোট পালা করে সুদানের সর্বোচ্চ ক্ষমতাকাঠামো সার্বভৌম পরিষদের নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আফ্রিকার এ দেশটিতে হওয়া সহিংসতার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দেশ পরিচালনায় একটি স্বাধীন টেকনোক্রেট সরকারে গঠনেও দুই পক্ষ সম্মত হয়েছিল।