ভারতের রাজধানী দিল্লির নিকটবর্তী গ্রেটার নয়ডায় একটি ছয়তলা নির্মাণাধীন ভবন ও একটি চারতলা আবাসিক ভবন ধসের ঘটনায় ধ্বংসস্তূপ থেকে নয় জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
Published : 19 Jul 2018, 12:36 PM
মঙ্গলবার রাতের ওই ঘটনার দেড় দিন পরেও বৃহস্পতিবার তল্লাশি ও উদ্ধার কাজ অব্যাহত আছে বলে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে।
এখনো আরও অনেকে ভবন দুটির ধ্বংসস্তূপের ভিতরে আটকা পড়ে আছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
যাদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১৪ মাস বয়সী একটি শিশু ও তার বাবা-মা রয়েছেন। এই পরিবারটি ধসে পড়ার মাত্র তিন দিন আগে নবনির্মিত চারতলা ওই ভবনটিতে উঠেছিলেন।
মঙ্গলবার রাতে পাশের নির্মাণাধীন ছয়তলা ভবনটি ধসে এই চারতলার উপর পড়লে এটিও ধসে যায়।
ওই রাতেই ভারতের জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ), পুলিশ ও দমকল বাহিনী উদ্ধার অভিযান শুরু করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অভিযান চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পুলিশ এ ঘটনায় মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করলেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নির্মাণাধীন ওই ছয়তলা ভবনের মালিকসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী ঘটনাস্থল শাহ বেরি গ্রামের চারতলা ওই ভবনটিতে আঠারটি পরিবার বসবাস করতো।
বুধবার ভোররাত সোয়া ১টার দিকে ধসে পড়া চারতলা ভবনটির অবশিষ্টাংশ থেকে দুই ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। বুধবার সকালে আরও দুই জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। একইদিন সন্ধ্যায় ও রাতে আরও চারটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে নবম মৃতদেহটি উদ্ধার হয়। নিহত ব্যক্তি একজন চিত্রশিল্পী ছিলেন বলে জানা গেছে।
ধ্বংসস্তূপের ভিতরে আর কেউ আটকা পড়ে আছেন কি না তা নিশ্চিত হতে এনডিআরএফ প্রশিক্ষিত কুকুর, সেন্সর ও ক্যামেরা ব্যবহার করছে। ভবনের ধসে পড়া অংশ সরিয়ে নিতে ক্রেন ব্যবহার করা হচ্ছে।
ঘটনার পর গ্রেটার নয়ডা ডেভলপমেন্ট অথরিটির দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্তের নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর প্রদেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
ছয়তলা ভবনটির নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রি ব্যবহার করা হয়েছে বলে মামলার বিবরণে বলা হয়েছে।