জিম্বাবুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট রবার্ট মুগাবে বিচার থেকে অব্যাহতির পাশাপাশি পেয়েছেন নিরাপত্তার নিশ্চয়তাও।
Published : 23 Nov 2017, 07:01 PM
মুগাবে যে চুক্তি অনুযায়ী পদত্যাগ করেছেন তার আওতায়ই এসব সুবিধা পেয়েছেন তিনি। আলোচকদের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার একথা জানান।
সরকারি এক কর্মকর্তা বলেছেন, ৯৩ বছর বয়সী মুগাবে আলোচকদের বলেছেন, তিনি জিম্বাবুয়েতেই মরতে চান। সেকারণে তার নির্বাসনে যাওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই।
“এটি মুগাবের জন্য খুবই আবেগতাড়িত ব্যাপার এবং এ ব্যাপারে তিনি অবিচল। ফলে দেশে থাকার জন্য তার নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেওয়া জরুরি... যদিও এতে তার বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ হবে না এবং তিনি চাইলে বা দরকার পড়লেই তা করতে পারবেন।”
তাছাড়া, অবসর গ্রহণের পরবর্তী সবরকম সুযোগ সুবিধাও মুগাবে পাবেন বলে জানানো হয়েছে খবরে।
অভিশংসন প্রক্রিয়া চলার মাঝেই গত মঙ্গলবার মুগাবের পদত্যাগের খবর দেন জিম্বাবুয়ের স্পিকার। চার দশকের শাসনের অবসান ঘটিয়ে তার এ পদত্যাগে পার্লামেন্টে অভিশংসন প্রক্রিয়া স্থগিত হয়, উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন পার্লামেন্ট সদস্যরা। রাস্তায় নেমে উল্লাস প্রকাশ করেছেন জনতা।
সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট এমারসন নানগাওয়াকে তার উত্তরসূরি বিবেচনা করা হলেও গত মাসে হঠাৎ করে সরকার ও দলীয় পদ থেকে তাকে বরখাস্ত করেন মুগাবে। স্ত্রী গ্রেস মুগাবেকে ক্ষমতার কেন্দ্রে নিয়ে আসতে নানগাওয়াকের মতো অভিজ্ঞ নেতাকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে।
এ নিয়ে দলীয় কোন্দলের মধ্যে গত বুধবার সেনাবাহিনী জিম্বাবুয়ের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা জানায়।
তার দুদিনের মাথায় সেনাবাহিনীর পাশাপাশি মুগাবের দল জিম্বাবুয়ের ক্ষমতাসীন জানু-পিএফ পার্টির পক্ষ থেকেও জনপ্রিয়তা হারানো এই নেতাকে পদত্যাগের আহ্বান জানানো হয়।
সেই আহ্বানে সাড়া না দেওয়ায় রোববার জানু-পিএফ পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি মুগাবেকে দলীয় প্রধানের পদ থেকে বহিষ্কার করে, নানগাওয়াকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়।
ওই বৈঠক থেকেই প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে যাওয়ার জন্য মুগাবেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
এরপরেও রবার্ট মুগাবে পদত্যাগ না করায় মঙ্গলবার বিকালে তাকে অভিশংসন প্রক্রিয়া শুরু হয়। পার্লামেন্ট সে বিষয়ে আলোচনার মধ্যেই প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের খবর আসে।