উত্তেজনার মধ্যেই কোরীয় উপদ্বীপে ১০ দিনের বার্ষিক যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া।
Published : 21 Aug 2017, 10:23 PM
উত্তর কোরিয়ার অব্যাহত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং এর জেরে দেশটির উপর জাতিসংঘের কঠোর বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার আরোপ; যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার তীব্র বাকযুদ্ধ এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় মার্কিন দ্বীপ গুয়ামের কাছে পিয়ংইয়ংয়ের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পরিকল্পনা সব মিলিয়ে যে যুদ্ধ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল সপ্তাহখানে আগে কিম জং উনের ঘোষণায় তার কিছুটা উন্নতি হয়েছে।
অগাস্টের মাঝামাঝিতে গুয়ামে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার হুমকি দেওয়া হলেও ১৫ অগাস্ট তা স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী পদক্ষেপ দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান কিম।
কিন্তু রোববার ফের ওয়াশিংটন-সিউল সামরিক মহড়া বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তাদের এ ‘বেপরোয়া আচরণের’ বিরুদ্ধে যেকোনও সময়ে ‘নির্দয় হামলা’ চালানোর হুঁশিয়ারিও দেয় উত্তর কোরিয়া।
যুক্তরাষ্ট্র এই যৌথ সামরিক মহড়াকে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ‘নিয়মিত আয়োজন’ বললেও উত্তর কোরিয়া একে ‘আক্রমণের প্রস্তুতি’ হিসেবে দেখছে।
জুলাইয়ে চীন এবং রাশিয়া যৌথ এই সামরিক মহড়া বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিল।
বিবিসি জানায়, প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার মার্কিন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার ৫০ হাজার সেনা যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিচ্ছে।
বিশেষ করে বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এই ধরণের মহড়া উসকানি মূলক বলে বিবেচনা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন যেকোনো মূল্যে কোরীয় উপদ্বীপে যুদ্ধ প্রতিহত করে সংকটের কূটনৈতিক সমাধানের কথা বলেছেন।
সোমবার তিনি বলেন, “যৌথ মহড়াকে অজুহাত বানিয়ে পিয়ংইয়ংয়ের পরিস্থিতির আরও অবনতি ডেকে আনা উচিৎ হবে না।”
দক্ষিণ কোরিয়াতেও যৌথ মহড়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।