যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা শিবিরের সাবেক চেয়ারম্যান পল ম্যানাফোর্টের বিরুদ্ধে গোপনে তহবিল নেওয়ার অভিযোগ আবার উঠেছে।
Published : 22 Mar 2017, 11:28 AM
এবার অভিযোগটি তুলেছেন ইউক্রেইনের সাবেক অনুসন্ধানী সাংবাদিক আইনজীবী শেরহি লেশচেঙ্কো, জানিয়েছে বিবিসি।
লেশচেঙ্কো দাবি করেছেন, ২০০৯ সালে রুশপন্থি একটি পক্ষের কাছ থেকে সাত লাখ ৫০ হাজার ডলার নিয়েছিলেন ম্যানাফোর্ট, যা তিনি লুকানোর চেষ্টা করেছেন।
অভিযোগের প্রমাণ হিসেবে লেশচেঙ্কো একটি চালানের নথি প্রকাশ করেছেন, তাতে ম্যানাফোর্টের স্বাক্ষর আছে বলে বলা হয়েছে। এই চালানে দেখা গেছে, ডেভিস ম্যানাফোর্ট নামের একটি ফার্মে কম্পিউটার সরবরাহ করার জন্য সাড়ে সাত লাখ ডলার পরিশোধ করা হয়েছে।
বেলিজের একটি অফশোর কোম্পানির পক্ষ থেকে কিরগিজস্তানের একটি ব্যাংকের মাধ্যমে এসব অর্থ পাঠানো হয়েছিল।
লেশচেঙ্কো জানিয়েছেন, ইউক্রেইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ভিক্তর ইয়ানুকোভিচের রাজনৈতিক দল ‘পার্টি অব রিজন্স’ কে পরামর্শ সেবা দেওয়ার বিনিময়ে ছদ্ম চুক্তির আড়ালে অর্থগুলো পাঠানো হয়েছিল।
পাঠানো অর্থের পরিমাণ ও তারিখ, পার্টি অব রিজন্সের হিসাবরক্ষণ বইয়ের একটি ভুক্তির সঙ্গে খাপে খাপে মিলে গেছে বলে জানিয়েছেন লেশচেঙ্কো।
লেশচেঙ্কোর এসব অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছেন ম্যানাফোর্টের মুখপাত্র জ্যাসন ম্যালোনি।
প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচের রাজনৈতিক উপদেষ্টা ছিলেন ম্যানাফোর্ট। তবে এই পক্ষটির কাছ থেকে নগদ কোনো অর্থপ্রাপ্তির কথা অস্বীকার করেছেন তিনি।
২০১৪ সালে ইউক্রেইনজুড়ে প্রবল গণবিক্ষোভের মুখে প্রেসিডেন্ট ইয়ানুকোভিচ পদত্যাগে বাধ্য হন।
অপরদিকে ২০১৬-র অগাস্টে ইয়ানুকোভিচের সঙ্গে ম্যানাফোর্টের যোগাযোগের কথা প্রকাশিত হলে তাকে ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালীন রাশিয়ার সঙ্গে সম্ভাব্য যোগাযোগ নিয়ে ট্রাম্পের যেসব সহযোগীদের বিরুদ্ধে এখন তদন্ত চলছে ম্যানাফোর্ট তাদের অন্যতম।
সোমবার এফবিআইয়ের পরিচালক জেমস কোমি প্রথমবারের মতো নিশ্চিত করেছেন, তার সংস্থা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার কথিত হস্তক্ষেপের বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।