বৈধ এন্ট্রি ভিসা থাকার পরও থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পদার্পণ করেই আটক হয়েছে পাঁচ সদস্যের একটি আফগান পরিবার।
Published : 06 Mar 2017, 07:48 PM
গত সপ্তাহে তিন সন্তানসহ ওই আফগান দম্পতি লস অ্যাঞ্জেলেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরপরই তাদেরকে আটক করা হয়।
তাদের বিশেষ অভিবাসী ভিসা ছিল। পরিবারটিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার আইনজীবীরা একটি পিটিশন দায়ের করেছেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
পরিবারটির কর্তা যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে আফগানিস্তানে যে কাজ করতেন তাতে তার স্ত্রী এবং সাত বছর, ছয় বছর ও আটমাস বয়সের সন্তানদের জীবন ঝুঁকির মধ্যে পড়ে যাওয়ায় তাদের বিশেষ অভিবাসী ভিসা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
তাদের মুক্তির জন্য আন্তর্জাতিক শরণার্থী সহায়তা প্রকল্প থেকে করা পিটিশনে বলা হয়েছে, “পরিবারটিকে একেবারেই অযৌক্তিকভাবে কাস্টডিতে নিয়ে রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের আওতায় এটি একটি অধিকারের লঙ্ঘন।”
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জারি করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় নেই আফগানিস্তান। ট্রাম্প ৭ টি মুসলিম দেশের নাগরিকদের ভ্রমণ ভিসা নিষিদ্ধ করার পর এর ওপর আদালতের স্থগিতাদেশ রয়েছে। এখন নতুন একটি নির্বাহী আদেশ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন।
এরই মধ্যে ২৮ ফেব্রুয়ারি পরিবারটি লস অ্যাঞ্জেলেস বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরপরই দেশটির কাস্টমস অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন (সিবিপি) কর্মকর্তারা তাদের আটক করে এবং পরষ্পর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। এমনকি তাদের কোনও আইনি সহযোগিতাও দেওয়া হয়নি বলে পিটিশনে দাবি করা হয়েছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান্টা অ্যানা জেলা আদালতে পিটিশনটি দায়ের করা হয়েছে। িএতে বলা হয়, “বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও সিবিপি থেকে ওই পরিবারকে আটকে রাখার কারণ সম্পর্কে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।”
এ বিষয়ে রয়টার্সের পক্ষ থেকে সিবিপি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
সোমবার এ মামলার প্রাথমিক শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
যদিও এরই মধ্যে স্যান্টা অ্যানা ফেডারেল কোর্ট পরিবারটিকে বিচ্ছিন্ন করার সরকারি পদক্ষেপে স্থগিতাদেশ দিয়েছে।
রয়টার্স জানায়, বর্তমানে পরিবারের কর্ত্রী এবং তিন শিশুকে লস অ্যাঞ্জেলেসের ডাউনটাউনে, আর ওই ব্যক্তিকে ক্যালিফোর্নিয়ার অরেঞ্জ কাউন্টিতে আটকে রাখা হয়েছে।
সরকারি কর্তৃপক্ষ ওই নারী ও শিশুদের টেক্সাসে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। যা ঠেকাতে শনিবার রাতে তাদের আইনজীবী ফেডারেল কোর্টের শরণাপন্ন হন।