যুক্তরাষ্ট্রে বিবিসি’সহ কয়েকটি প্রধান সংবাদ সংস্থাকে হোয়াইট হাউজে সংবাদ সম্মেলনে ঢুকতে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বাধা দেওয়ার নিন্দা জানিয়েছে মেডিয়া গ্রুপগুলো।
Published : 25 Feb 2017, 09:54 PM
বাধার মুখে পড়া নিউ ইয়র্ক টাইমস বলেছে, “এটি ষ্পষ্টতই গণতান্ত্রিক আদর্শের অপমান।”
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গণমাধ্যমকে আরেকবার আক্রমণ করে কথা বলার পর সাংবাদিকদের হোয়াইট হাউসে ঢুকতে এ বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটল।
বিবিসি হোয়াইট হাউসের কাছ থেকে বিষয়টির পরিষ্কার ব্যাখ্যা চেয়েছে।
ওয়াশিংটনে বিবিসি’র ব্যুরো চীফ বলেছেন, আমরা জানি কোনো কোনো সময় কোনও কারণে যেমন, স্থানসংকুলান কিংবা পরিস্থিতিগত কারণবশত হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি করা হয়। কিন্তু এবার যা করা হল সেক্ষেত্রে এমন ধরনের কিছু ঘটেনি। তারপরও গণমাধ্যমের প্রতিবেদন সুষ্ঠু এবং পক্ষপাতহীন থাকবে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসারের ওই সংবাদ সম্মেলনে রীতিমতো ‘তুলোধুনা’ করা হয় আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদকদের।
সিএনএন, নিউ ইয়র্ক টাইমস, পলিটিকো, লস অ্যাঞ্জেলস টাইমস ও বাজফিডের প্রতিবেদকদের সংবাদ সম্মেলনে ঢুকতেই দেওয়া হয়নি। শুধু তাই নয়, ছবি তোলার বা ভিডিও করারও অনুমতি পাননি সংবাদকর্মীরা।
হোয়াইট হাউসের পদক্ষেপ ‘বিস্ময়কর’ বলে মন্তব্য করেছে ওয়াশিংটন পোস্ট।
ওদিকে, এক সম্পাদকীয় লা টাইমস বলেছে, “উদ্দেশ্য যদি হয় সাংবাদিকদের ভয় দেখিয়ে প্রশাসন যা পছন্দ করে না তা নিয়ে বেশি লেখালেখি না করানো, আর যা পছন্দ করে তা নিয়ে বেশি বেশি লেখানো, তাহলে তা ধোপে টিকবে না।”
ঠিক কী কারণে হোয়াইট হাউস সাংবাদিকদের সঙ্গে কঠোর আচরণ করেছে প্রেস সেক্রেটারি তা খোলাসা না করায় সাংবাদিকরা আরও বেশি চটেছেন।
তবে রয়টার্স, ব্লুমবার্গ ও সিবিএসের মতো আরও ১০টি প্রতিষ্ঠান ওইদিন বিনা-বাধায় সংবাদ সংগ্রহ করতে পেরেছে। আর এপি, ইউএসএ টুডে, টাইম ম্যাগাজিন প্রতিবাদ জানিয়ে হোয়াইট হাউসে প্রবেশ করেনি।
হোয়াইট হাউসের এ পদক্ষেপ মেনে নেওয়া যায় না এবং ট্রাম্প প্রশাসনের সত্য খবর প্রকাশের জবাবেই এ আচরণ বলে মানছেন সংবাদকর্মীরা। যদিও মেডিয়া কভারেজে নাখোশ থাকার কারণে তাদেরকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ নাকচ করেছেন হোয়াইট হাউসের স্পেস সেক্রেটারি শন স্পাইসার।