ভারতের কানপুরে গতবছরের ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনা পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর নির্দেশনায় ঘটানো হয়েছিল বলে দাবি করেছে বিহার পুলিশ।
Published : 18 Jan 2017, 08:34 PM
বিহারের ভারত-নেপাল সীমান্ত থেকে উমাশঙ্কর প্যাটেল, মতিলাল পাসওয়ান ও মুকেশ যাদব নামের তিনজনকে আটকের পর এ দুর্ঘটনায় আইএসআই এর হাত থাকার বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে বলে বিহার পুলিশ দাবি করেছে।
পুলিশের ভাষ্য, ওই তিনজন দুবাই ভিত্তিক আইএসআই’ এর একজন নেপালি এজেন্টের নির্দেশনায় কাজ করেছিল।
এনডিটিভি জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা পুলিশের কাছে পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর হয়ে কাজ করা এবং রেলওয়েকে হামলার টার্গেট করার কথা স্বীকারও করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তিরা ট্রেন দুর্ঘটনার বিশষ ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য’ দেয়।
২০ নভেম্বর কানপুর থেকে ছেড়ে আসা ইন্দোর-পাটনা এক্সপ্রেসের ১৪টি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ১৫০ মানুষের মৃত্যু হয়।
পুলিশের ধারণা, কানপুর ট্রেন দুর্ঘটনার পেছনে দুই পরিকল্পনাকারী দিল্লির বাসিন্দা শামসুল হুদা এবং নেপালের নাগরিক ব্রজকিশোর গিরি।
তাদের মধ্যে শামসুল হুদার সঙ্গে আইএসআই এর সম্পর্ক থাকার বিষয়ে সন্দেহ করা হচ্ছে। তার নির্দেশনাতেই গিরি ও অন্যেরা কাজ করেছে।
আটককৃত মতি পাসওয়ান, উমা শংকর প্যাটেল এবং মুকেশ যাদবকে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছিলেন ব্রজকিশোর।
পাটনা থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে মতিহারিতে দুই তরুণকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ওই তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তদন্ত কর্মকর্তা এনডিটিভি’কে বলেন, মতি পাসওয়ান ‘স্বীকার’ করেছেন নিহত অরুণ ও দীপক রাম নামের ওই দুই তরুণকে ব্রজকিশোরের নির্দেশে ১ অক্টোবর হত্যা করা হয়।
তারা পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী নেপাল সীমান্তের কাছে চম্পারাম এলাকায় একটি রেললাইনে বোমা পাততে ব্যর্থ হয়েছিল। একটি যাত্রীবাহী ট্রেন সেখান দিয়ে যাওয়ার সময় শেষ মুহূর্তে তারা বোমা হামলা না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
শামসুল হুদার নির্দেশেই ব্রাজকিশোর তাদের ২০ থেকে ২৫ লাখ রুপি দিয়েছিল।