পহেলা জুলাই বিশ্বব্যাপী একযোগে অভিষেক হয়েছে মার্কিন টেক জায়ান্ট অ্যাপলের মিউজিক স্ট্রিমিং সার্ভিস ‘অ্যাপল মিউজিক’-এর। স্পটিফাই, আরডিও, প্যান্ডোরা, গুগল প্লে এবং অ্যামাজন প্রাইম মিউজিকের মতো প্রতিষ্ঠিত স্ট্রিমিং সেবাগুলোর বিপরীতে সরাসরি লড়বে অ্যাপল মিউজিক।
Published : 01 Jul 2015, 03:52 PM
অ্যাপলের এই নতুন সেবা সম্পর্কে ক্রেতা-গ্রাহকদের জানা প্রয়োজন এমন ৫ তথ্যের তালিকা প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
কীভাবে এই সেবা পাওয়া যাবে: অ্যাপল মিউজিক সেবা পেতে প্রথমেই গ্রাহককে তার অ্যাপল ডিভাইসটির অপারেটিং সিস্টেম আইওএস ৮.৪-এ আপডেট করে নিতে হবে অথবা ইনস্টল করতে হবে আইটিউনসের সর্বশেষ সংস্করণটি। অ্যাপল মিউজিকের সঙ্গে একই দিনে উন্মুক্ত করা হয়েছে আইওএস ৮.৪। অ্যাপল মিউজিকের অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণ বাজারে আসবে চলতি বছরেই।
প্রথম তিন মাস ব্যবহারকারীরা অ্যাপল মিউজিক সেবা পাবেন বিনামূল্যে। এরপর থেকে একক গ্রাহকদের প্রতি মাসে ৯.৯৯ ডলার খরচ করতে হবে এই সেবার জন্য। আর একই পরিবারের তিনজন গ্রাহকের জন্য বিশেষ প্যাকেজের মাসিক খরচ হবে ১৪.৯৯ ডলার।
সাহায্য করবে সিরি: অ্যাপল মিউজিকের ফিচারগুলো প্রাথমিক অবস্থায় বুঝে উঠা কঠিন হতে পারে ব্যবহারকারীর জন্য। এক্ষেত্রে সহযোগিতা করবে অ্যাপলের ডিজিটাল ভয়েস অ্যাসিসট্যান্ট সিরি। ব্যবহারকারীর কমান্ডের ভিত্তিতে নির্দিষ্ট গান, অ্যালবাম এবং প্লেলিস্ট চালু করে দিতে পারবে সিরি।
চাইলে আইটিউনস টপচার্টের গানগুলোও বাজিয়ে শোনাবে সিরি। অ্যাপল মিউজিকের ক্ষেত্রে সিরির সবচেয়ে মজার ফিচার বলা হচ্ছে তারিখ ধরে গান বাজানোর ফিচারটিকে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ব্যবহারকারীর জন্মদিনে প্রকাশিত গানগুলো চিহ্নিত করতে পারবে সিরি।
সিঙ্ক করার পরও মুছে দেওয়া যাবে না লাইব্রেরি: অ্যাপল মিউজিক ডিভাইসের মিউজিক লাইব্রেরি স্ক্যান করে সেই অনুযায়ী আইটিউনস ক্যাটালগ স্ক্যান করবে। মিলে যাওয়া গান আর অ্যালবামগুলো যোগ হয়ে যাবে আইক্লাউড মিউজিক লাইব্রেরিতে। ফলে অ্যাপল মিউজিকে লগইন করে যে কোনো স্থান থেকে পছন্দের গান শুনতে পারবেন ব্যবহারকারী। তবে মিউজিক লাইব্রেরি সিঙ্ক করার পরও মুছে দেওয়া যাবে না ডিভাইসে আগে থেকে থাকা ট্র্যাকগুলো।
শোনা যাবে অফলাইনে: গান, অ্যালবাম ও প্লেলিস্টের কপি ডিভাইসে ডাউনলোড করার সুযোগ দেবে অ্যাপল মিউজিক। ফলে অফলাইনে থেকেও পছন্দের গান শুনতে পারবেন ব্যবহারকারী। কতক্ষণ অফলাইনে থেকে গান শোনা যাবে বা কোন গানগুলোর কপি ডাউনলোড করা যাবে এর উপর কোনো বাধা-নিষেধ নেই অ্যাপল মিউজিকে। কোন গানগুলো ডিভাইসে আছে আর কোনগুলো আইক্লাউডে আছে সেটা জেনে নেওয়া যাবে অ্যাপ থেকেই।
নতুন গানগুলোই খুঁজে নেবে আপনাকে: নতুন নতুন গান খুঁজতে উপায়ের অভাব হবে না অ্যাপল মিউজিকে। সদ্য প্রকাশিত গান, টপ চার্ট, প্লেলিস্ট এবং স্টেশন, গানের জনরা এবং থিমসহ বিভিন্ন তালিকা থেকে পছন্দের গান খুঁজে নিতে পারবেন শ্রোতা। এমনকি বিটস ১ মিউজিকে প্রচারিত গানও শোনা যাবে অ্যাপল মিউজিকে।
শ্রোতাদের জন্য আরেকটি ইতিবাচক দিক হলো, শ্রোতার ডিভাইসে সংরক্ষিত গান, প্লেলিস্ট আর কয়েকটি প্রশ্নের উত্তরের ভিত্তিতে তার পছন্দের গানের ব্যাপারে ধারণা নেবে অ্যাপল মিউজিক। এরপর শ্রোতার পছন্দ; বিশ্লেষণ করে নতুন নতুন গান খুঁজে দেবে অ্যাপটি।