ইউক্রেইন আক্রমণের তৃতীয় দিনে টুইটারের অ্যাক্সেস বন্ধ করে দিয়েছে রাশিয়া।
Published : 26 Feb 2022, 09:25 PM
ইন্টারনেট মনিটরিং গ্রুপ নেটব্লকস বলছে, শনিবার সকাল থেকে রোস্টেলকম, এমটিএস, বিলাইন এবং মেগাফনসহ রাশিয়ান প্রধান টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর ইন্টারনেট সংযোগ ব্যর্থ বা ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রিত দেখা গেছে। রাশিয়ানরা এখনও ভিপিএন সংযোগ ব্যবহার করে টুইটারের নাগাল পেলেও সরাসরি সংযোগ মিলছে না বলে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট দ্য ভার্জ।
⚠️ Confirmed: Live metrics show that Twitter has been restricted on multiple providers in #Russia as of 9:00 a.m. UTC; the incident comes as the government clashes with social media platforms over policy in relation to the #Ukraine conflict
Report: https://t.co/ihPX8fb86s pic.twitter.com/nGrcHzjIXd
— NetBlocks (@netblocks) February 26, 2022
রাশিয়ায় অবস্থানরত সাংবাদিকরা এই টুইটার অবরোধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিবিসির একজন সাংবাদিক টুইটারের “এক্সেস গুরুতরভাবে সীমাবদ্ধ” হিসাবে বর্ণনা করে বলেছেন।
“এই বার্তাটিই যে দিলাম, এটি যেতেও সময় লেগেছে।”
এই বিধিনিষেধ আরোপের পেছনে কারণ স্পষ্ট নয়, তবে দেশটি সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলির ওপর খড়্গহস্ত হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার রাতে ফেইসবুকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাশিয়া। ফেইসবুক থেকে দেশটির সরকার পরিচালিত চারটি সংবাদমাধ্যমের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করাকে পুতিন প্রশাসন “রাশিয়ান নাগরিকদের অধিকার এবং স্বাধীনতার” লঙ্ঘন হিসাবে বর্ণনার পর ওই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
সেবা ব্লক করা বিষয়ে টুইটার তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
রাশিয়ান বাহিনী রাজধানী শহর কিয়েভের উপর তাদের আক্রমণ চালাচ্ছে। শনিবার পর্যন্ত রাজধানী ইউক্রেইনীয় সরকারের হাতে ছিল। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, যুদ্ধে ১৯৮ জন ইউক্রেইনীয় নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে এক হাজারেরও বেশি।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যম এই সংঘাতের ব্যাপকভাবে সেন্সরকরা সংস্করণ প্রচার করছে। ওই সংবাদগুলোর কেন্দ্রে ছিল পূর্ব ডনবাস প্রদেশের উদ্বাস্তুদের দুর্দশার বর্ণনা।
সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোয় এই সংঘাতের আরও নাজুক চিত্র উঠে এসেছে। সংঘাতের ভীতিকর ছবি এবং ভিডিও ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে। বহুল প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, রাশিয়ার একটি ক্ষেপণাস্ত্র কিয়েভের একটি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট টাওয়ারে আঘাত হেনেছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘন। অন্যান্য ছবিতে ক্লাস্টার বোমাসদৃশ অস্ত্র দেখা গেছে তবে সেগুলো এখনও যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
ইউক্রেইনে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস সক্রিয় রয়েছে এবং সেখানে টুইটার অবরুদ্ধ করা হয়নি। কিছু বিশ্লেষক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে রাশিয়ান বাহিনী টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো দখল করতে পারে এবং সংঘাত তীব্রতর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট শুরু করতে পারে।