আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার আবার ক্ষমতায় এলে করপোরেট করহার কমানোর আশ্বাস দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
Published : 08 Nov 2017, 06:28 PM
বুধবার রাজধানীতে পুঁজিবাজার বিষয়ে সচেতনতা নিয়ে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
মুহিত বলেন, বর্তমানে এই করহার (করপোরেট কর) কমানোর সুযোগ নেই। ভবিষ্যত সরকারের জন্য পাঁচ বছরের একটি পরিকল্পনাও করা হবে। আস্তে আস্তে এই করহার কমানো হবে।
কোম্পানি করের আদায়ের পরিস্থিতিকে ‘হতাশাজনক’ আখ্যা দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, “এটা লজ্জার কথা। আমি এটা বাড়ানোর চেষ্টা করেও পারিনি। এখনও কম রয়েছে।”
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিসিআইসি) ‘রাইজিং অ্যাওয়ারনেস অন ভেরিয়াস অ্যাসপেক্টস অব দ্য ক্যাপিটাল মার্কেট’ শীর্ষক সেমিনারটি আয়োজন করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেট কোম্পানিস (বিএপিএলসি)।
“বর্তমানে এটা একটা গ্যাদারিং (অগোছালো), খুব হেল্পফুল নয়। তবে আমি আত্মবিশ্বাসী, এর দিকে আন্তর্জাতিকভাবে যারা গেম করে তারা নোটিস করবেন।”
অর্থনৈতিক উন্নয়নে সরকারের ভূমিকা তুলে ধরে তিনি বলেন, গত ৮-৯ বছরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। পাবলিক, প্রাইভেট বিনিয়োগ বেড়েছে। এজন্য মানুষের মানুষের মানসিকতারও পরিবর্তন হয়েছে।
“দেশে গরিবরা আরও গরিব হচ্ছে। তবে এ সংখ্যা আগের মতো নেই। আমরা যে উন্নয়ন করেছি, এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দেশ দারিদ্র্যমুক্ত হবে।”
বিএপিএলসির প্রেসিডেন্ট আজিজ খান অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক করহার অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। ব্যবসায়ীদের স্বার্থে এটি কমিয়ে দেওয়া উচিত।
সেমিনারের মূল প্রবন্ধে আইডিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ খান বলেন, বাংলাদেশে ‘কারসাজির ৭৩ শতাংশের সঙ্গে কোম্পানির ভেতরের’ লোক জড়িত থাকে। এছাড়া কোম্পানির তথ্য প্রকাশেও কিছু সমস্যা রয়েছে।
“এটি কাটিয়ে উঠলে ভবিষ্যতে জিডিপিতে পুঁজিবাজারের অবদান আরও বাড়বে।”
পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে সমন্বয়হীনতার কথা তুলে ধরেন ঢাকা স্টক একচেঞ্জ ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহমেদ রশীদ লালী।