গত মৌসুমেও রিয়াল মাদ্রিদের জার্সিতে মাঠে ছিলেন না নিয়মিত। একাধিকবার তার দলছুট হওয়ার গুঞ্জনও শোনা গেছে। কিন্তু গ্যারেথ বেল শেষ পর্যন্ত রিয়ালেই রয়ে গেছেন। নতুন ঠিকানায় যেতে না পারার জন্য ওয়েলসের এই ফরোয়ার্ড দুষলেন রিয়াল কর্তৃপক্ষকে।
Published : 03 Sep 2020, 05:36 PM
মাদ্রিদের দলটির সঙ্গে এখনও দুই বছরের চুক্তি আছে বেলের। নতুন মৌসুম সামনে রেখে সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে স্কাই স্পোর্টসের সঙ্গে কথা বলেন ৩১ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। জানান, সবকিছু রয়েছে রিয়ালের হাতে।
“দেখা যাক, কী ঘটে; এই ট্রান্সফার উইন্ডোতে অনেক সময় আছে, আরও কয়েকটা উইন্ডো আছে। সময়ই বলবে (কী হবে)। আমি মনে করি, সিদ্ধান্ত রিয়ালের হাতে।”
“গত বছর আমি চলে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম; কিন্তু তারা শেষ মুহূর্তে সবকিছু আটকে দেয়। (গণমাধ্যমে আসা তার সম্ভাব্য ঠিকানা) ওই প্রকল্প নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত ছিলাম, কিন্তু সেটা বাস্তবে রূপ পায়নি। আরও কিছু প্রস্তাব ছিল, যেগুলো নিয়ে আমরা ভেবেছি, কিন্তু ক্লাব রাজি হয়নি বা নিজেরাও কিছু করেনি। এটা ক্লাবের ব্যাপার।”
২০১৩ সালে ওই সময়ের রেকর্ড ট্রান্সফার ফি সাড়ে আট কোটি পাউন্ডে টটেনহ্যাম হটস্পার থেকে রিয়ালে যোগ দিয়ে দলটির হয়ে চারটি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, একটি করে লা লিগা ও কোপা দেল রে এবং তিনটি করে উয়েফা সুপার কাপ ও ক্লাব বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছেন বেল। দলটির সঙ্গে ২০২২ সাল পর্যন্ত চুক্তি রয়েছে তার।
তবে সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে অধিকাংশ সময়েই চোট সমস্যায় ভুগেছেন বেল। গত মৌসুমেও মাঠে ছিলেন অনিয়মিত। নতুন মৌসুমে কোচ জিনেদিন জিদানের পরিকল্পনায় বেলের থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তাও আছে ঢের। ওয়েলসের ফরোয়ার্ড তাই একটা সমাধান চাইছেন।
“আমি ফুটবল খেলতে চাই। এখনও আমি ফুটবল খেলতে অনুপ্রেরণা বোধ করি। কিন্তু এটা নির্ভর করছে ক্লাবের উপর। সবকিছু তাদের নিয়ন্ত্রণে। আমার একটা চুক্তি আছে এবং আমি যেটা করতে পারি, তা হচ্ছে কাজ চালিয়ে যাওয়া। আশা করি ভালো কিছু হবে।”
“আমার বয়স মাত্র ৩১। অনুভর করি, এখনও দারুণ অবস্থায় আছি এবং আমার দেওয়ার মতো অনেক কিছু আছে। বিষয়টা ক্লাবের হাতে, কিন্তু সত্যি বলতে, তারা বিষয়টাকে খুবই জটিল করে তুলেছে।”
প্রিমিয়ার লিগে ফেরার সুযোগ পেলে অবশ্যই বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন বেল।