আগের দফায় তিন বছর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের টেকনিক্যাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক ডিরেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন। মাঝে ব্রুনাই জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার ছয় মাস পর বাফুফেতে আগের পদেই ফিরেছেন পল স্মলি। এবার চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন দুই বছরের জন্য। ইংলিশ বংশোদ্ভূত এই অস্ট্রেলিয়ান পূর্বের কাজের মূল্যায়নের পর নতুন শুরু করতে চান। আরও বেশি গুরুত্ব দিতে চান তৃণমূল ফুটবলে।
Published : 15 Jul 2020, 06:25 PM
আগের তিন বছরে কোচদের ট্রেনিং, ফিফা-এএফসির বিভিন্ন প্রকল্প থেকে বাফুফের ফান্ড এনে দেওয়া এবং মেয়েদের ফুটবল নিয়ে বেশি কাজ করেছেন স্মলি। এজন্য সমালোচিতও হয়েছেন। পুনরায় তাকে ফেরানো নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় ঘরোয়া ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাফুফেকেও।
বাফুফের মাধ্যমে বুধবার পাঠানো বার্তায় এ দেশের ফুটবল নিয়ে আগামী দিনের ভাবনা, পরিকল্পনা তুলে ধরেন স্মলি। অতীত কর্মকাণ্ডের প্রশংসা, সমালোচনা মাথায় রেখে নতুন পরিকল্পনা সাজানোর আশাবাদ জানান তিনি।
“বাংলাদেশে এসে প্রথম ধাপে যা কিছু করেছি, তাতে আমি সন্তুষ্ট। কিন্তু বাংলাদেশের জন্য এখনও দক্ষিণ এশীয় অঞ্চল ও আরও বড় পরিসরে অনেক কাজ করার বাকি। আমরা ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত যা করেছি, তার মূল্যায়ন করব প্রথমে। যা শিখলাম, তা মাথায় রাখতে হবে। এরপর এএফসি ও ফিফার সঙ্গে মিলিয়ে চার বছরের ফুটবল উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। এসবই রুটিনমাফিক কাজ। তবে এসব কাজই শেষ কথা নয়। আরও অনেক কাজ করতে হবে আমাদের।”
“(আগেরবার) আমি আধুনিক ও যুগোপযোগী পদ্ধতি অনুসরণ করেছি। সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চেয়েছি, যা ছিল দৃশ্যমান। যে উপায়ে কাজ করলে ফুটবলের উন্নয়ন হবে, সেসব ক্ষেত্রে কাজ করেছি। তবে এটাও দেখতে হবে পাশের দেশগুলোর চেয়ে ফুটবলে আমাদের বাজেট ছিল কম। এ কাজে ধারাবাহিকতাও দরকার ছিল, কিন্তু তাও হয়নি। তবু তৃণমূল ফুটবলে বেশ কিছু কাজ হয়েছে। ভবিষ্যতে এ কাজে আরও মনোযোগ দিতে হবে।”
মেয়েদের ফুটবল নিয়ে বেশি মনোযোগী থাকার অভিযোগ নিয়েও কথা বলেছেন স্মলি। প্রতিশ্রুতি দিলেন এবার সার্বিক দিক নিয়ে কাজ করার।
“ফুটবলে টেকনিক্যালি উন্নয়নের জন্য সবসময়ই বাংলাদেশের সব গুরুত্বপূর্ণ দিকে মনোযোগ দেওয়ার ইচ্ছা আমার ছিল। আর মেয়েদের ফুটবল এ মুহূর্তে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার দিক বিবেচনায় মেয়েদের ফুটবলে অনেক সুযোগ রয়েছে। এ জন্য মেয়েদের ফুটবলে অনেক সময় দিতে হয়েছে এবং বেশ সাফল্য পেয়েছিলাম। তবে আমি বলব আমার সবসময়ই কাজের প্রতি একাগ্রতা আছে। তাই ফুটবলের উন্নয়নের জন্য টেকনিক্যাল দিক দিয়ে আমি সর্বোচ্চটা দিব।”