এএইচএফ কাপ হকির তৃতীয় শিরোপা জয়ের খুব কাছাকাছি বাংলাদেশ। রাসেল মাহমুদ জিমিও উন্মুখ হয়ে আছেন অধিনায়ক হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো এ শিরোপা উঁচিয়ে ধরতে। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানালেন, ফাইনালে আগ্রাসী হকি খেলেই শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্য।
Published : 26 Nov 2016, 07:09 PM
২০০৮ প্রথম এএইচএফ কাপ জেতা বাংলাদেশ ২০১২ সালে মুকুট ধরে রেখেছিল।
হংকংয়ের কিংস পার্ক হকি গ্রাউন্ডে শনিবার সিঙ্গাপুরকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। আগামী রোববার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে জিমিদের প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা-হংকং ম্যাচের জয়ী দল।
বাংলাদেশ অধিনায়ক অবশ্য প্রতিপক্ষ নিয়ে খুব একটা ভাবছেন না। দারুণ খেলে ফাইনালে উঠে আসায় দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী তিনি।
“ফাইনালে শ্রীলঙ্কার ওঠার সুযোগ আছে। ওরা অনেক ভালো দল। তবে হংকং বা শ্রীলঙ্কা, প্রতিপক্ষ যেই হোক, আমরা আমাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলব। রক্ষণাত্মক নয়, ফাইনালে আগ্রাসী হকিই খেলব আমরা।”
অজেয় থেকে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ। প্রতিযোগিতার আয়োজক হংকংকে ৪-২ ব্যবধানে হারিয়ে শুরু করা বাংলাদেশ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে একই ব্যবধানে চাইনিজ-তাইপেকে হারায়। এরপর আশরাফুল ইসলামের হ্যাটট্রিকে ১৩-০ ব্যবধানে ম্যাকাওকে উড়িয়ে পুল ‘এ’র চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।
এএইচএফ কাপের এবারের আসরে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি গোল (২৯টি) দিয়েছে; খেয়েছেও সবচেয়ে কম; মাত্র চারটি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮ গোল করেছেন আশরাফুল। চারটি করে গোল আছে জিমি, পেনাল্টি কর্নার স্পেশালিস্ট মামুনুর রহমান চয়ন, রোমান সরকারের। তিনটি গোল করেছেন সারোয়ার হোসেন। সতীর্থদের পারফরম্যান্স আরও আশাবাদী করছে জিমিকে।
“দল ফাইনালে উঠেছে, অধিনায়ক হিসেবে অবশ্যই আরও বেশি ভালো লাগছে। কোনো চোট সমস্যা নেই। বড় কথা হলো, সবাই ইতিবাচক আছে। আশা করি, আমরা শিরোপা ধরে রাখতে পারব।”