ফ্রান্সকে শুরুতেই চমকে দিয়েছিল ইতালিকে হারিয়ে নকআউট পর্বে ওঠা রিপাবলিক অব আয়ারল্যান্ড। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আইরিশদের প্রতিরোধ ভেঙে ২-১ গোলের জয়ে ইউরোর কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা।
Published : 26 Jun 2016, 09:01 PM
লিওঁতে রোববার বিকালে শেষ ষোলোর এই ম্যাচে রবি ব্র্যাডির পেনাল্টি কিকে শুরুতেই এগিয়ে যায় আইরিশরা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে তিন মিনিটের মধ্যে জোড়া গোল করে স্বাগতিকদের উচ্ছ্বাসে ভাসান অঁতোয়ান গ্রিজমান।
ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই এগিয়ে যায় আইরিশরা। মিডফিল্ডার পল পগবার ট্যাকলে ফরোয়ার্ড শেন লং পড়ে গেলে পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। রবি ব্র্যাডির স্পটকিক ডান পোস্ট কাঁপিয়ে জালে জড়ায়।
টিভি রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে, হালকা ধাক্কাতেই পড়ে যান লং।
২১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারতো; তবে ড্যারিল মার্ফির শট বাঁয়ে ঝাঁপিয়ে এক হাত দিয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক হুগো লরিস।
তিন মিনিট পর ৩০ গজ দূর থেকে পগবার বাঁকানো ফ্রি-কিক ঠেকান গোলরক্ষক ড্যারেন র্যানডল্ফ।
বিরতির আগে ডি-বক্সে জটলার মধ্যে বল পেয়ে গোল শোধ করতে পারেননি দিমিত্রি পায়েত ও অঁতোয়ান গ্রিজমান।
গোলের জন্য অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি স্বাগতিকদের। ৫৮তম মিনিটে ডান দিক থেকে ডিফেন্ডার বাকারি সানিয়ার ক্রসে প্রায় ১২ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত হেডে সমতা ফেরান গ্রিজমান।
তিন মিনিট পর দলকে এগিয়ে দেন আতলেতিকো মাদ্রিদের এই ফরোয়ার্ড। গোলটিতে দারুণ অবদান অলিভিয়ে জিরুদের। উঁচু করে আসা বল ডিফেন্ডারদের ফাঁকি দিয়ে করা হেডে গ্রিজমানের পথে ফেলেছিলেন আর্সেনালের এই দীর্ঘদেহী ফরোয়ার্ড।
ডি-বক্সে বল নিয়ে ঢুকতে যাওয়া গ্রিজমানকে পেছন থেকে পা বাড়িয়ে ফাউল করে ৬৬তম মিনিটে লাল কার্ড দেখেন আইরিশ ডিফেন্ডার শেন ডাফি।
৭৭তম মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া জিনিয়াকের শট ক্রসবারে লাগলে ব্যবধান আর বাড়েনি। যোগ করা সময়ে খুব কাছ থেকে শট ঠেকিয়ে গ্রিজমানকে হ্যাটট্রিক বঞ্চিত করেন র্যানডল্ফ।
আগামী রোববার চতুর্থ ও শেষ কোয়ার্টার-ফাইনালে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ হবে ইংল্যান্ড ও আইসল্যান্ডের মধ্যে বিজয়ী দল।