দলকে এখন চিনতে পারছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ

আগের ম্যাচে দলের পারফরম্যান্সে ক্ষুব্ধ ছিলেন এরিক টেন হাগ, তার স্বস্তি ফিরেছে এফএ কাপের ফাইনালে পা রেখে।

নিজ দলকেই অচেনা লাগছিল এরিক টেন হাগের কাছে। পরাজয় তো খেলাধুলায় থাকেই, কিন্তু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ বিরক্ত ছিলেন পারফরম্যান্সে। সেই তিনিই এখন উচ্ছ্বসিত দল নিয়ে। এবার দল জিতলেও তা সহজে আসেনি। তবে টেন হাগ তৃপ্ত দলের খেলার ধরনে। এই দলই যে তার বড্ড আপন!

এফএ কাপের সেমি-ফাইনালে রোববার ব্রাইটনকে টাইব্রেকারে ৭-৬ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পা রাখে ইউনাইটেড।

এই দলই গত বৃহস্পতিবার ইউরোপা লিগের সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লিগে সেভিয়ার কাছে ৩-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে ছিটকে পড়ে। এমনিতে বেশ পরিশীলিত হলেও সেদিন ম্যাচ শেষে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন টেন হাগ। দলের মধ্যে লড়াইয়ের মানসিকতা না দেখে চটেছিলেন তিনি।

নির্ধারিত আর অতিরিক্ত সময় মিলিয়ে ১২০ মিনিটে তারা গোল করতে পারেনি এফএ কাপের সেমি-ফাইনালেও। তবে টেন হাগ খুশি দলের খেলার ধরনে।

“বৃহস্পতিবার দলকে দেখে আমি চিনতে পারছিলাম না। আজকে আমাদের স্বাভাবিক চেহারা ফিরেছে। আজকে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞা ও চোয়ালবদ্ধ মানসিকতা দেখতে পেয়েছি। প্রতিটি পদক্ষেপে লড়াই করেছি আমরা, লড়াইয়ে কখনও হাল ছাড়িনি। ভালো কিছু সুযোগ তৈরি করেছি আমরা।”

সেভিয়ার বিপক্ষে ৩-০তে হারা ম্যাচে প্রথম গোলটি হয়েছিল ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুইয়ারের ভুলে। পরের দুই গোলে ভূমিকা ছিল গোলকিপার দাভিদ দে হেয়ার ভুলের। ব্রাইটনের বিপক্ষে এই ম্যাচে নির্ভারতার চেনা চেহারায় ফেরেন দে হেয়া। বেশ কিছু আক্রমণ থেকে তিনি রক্ষা করেন দলকে।

দলের অন্যদের মতো এখন দে হেয়াকেও চেনা লাগছে টেন হাগের।

“দাভিদ দারুণ খেলেছে। দুর্দান্ত কয়েকটি সেভ করেছে সে। এই মৌসুমে সে অনেকবারই তা করেছে, দলকে রক্ষা করেছে। বৃহস্পতিবার যখন সে ভুল করেছে, ব্যাপারটি বেদনাদায়ক ছিল। গোলকিপার হিসেবে অনেক সময়ই ভুল করলে শাস্তি পেতে হয়। তবে আমরাও তাকে হতাশ করেছিলাম সেদিন, তার জন্য লড়াই করে ঘুরে দাঁড়াতে পারিনি। আজকে আমরা নিজেদের খুঁজে পেয়েছি।”