টাঙ্গাইলে কলেজছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রূপা হত্যা মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তার পরিবারের সদস্যরা বলছেন, দেশের অন্য বিচারপ্রার্থীরাও যেন দ্রুত ন্যায়বিচার পায়।
Published : 12 Feb 2018, 12:00 PM
আলোচিত এ মামলার রায়ে পাঁচ আসামির মধ্যে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল; একজনের হয়েছে সাত বছরের কারাদণ্ড।
সোমবার এই রায় ঘোষণার পর আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন রূপার ভাই হাফিজুল ইসলাম প্রামাণিক ও বোন মাশরুফা আক্তার পপি।
জাকিয়া সুলতানা রূপার বাড়ি সিরাজগঞ্জের তাড়াশে। ঢাকার আইডিয়াল ল কলেজে পড়ালেখা করার পাশাপাশি একটি কোম্পানির প্রোমশনাল ডিভিশনে কাজ করছিলেন তিনি। তার কর্মস্থল ছিল ময়মনসিংহ জেলা সদরে।
ওই বাসের চালক, সুপারভাইজারসহ পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে গতবছর ২৯ নভেম্বর এ মামলার বিচার শুরু করে টাঙ্গাইলের আদালত। তার তিন মাসের মাথায় সোমবার আদালত রায় ঘোষণা করে।
রূপার ভাই হাফিজুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর বলেন, “দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারকাজ শেষ হওয়া এবং চার খুনির ফাঁসির আদেশ হওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট। আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি। আরও ভালও লাগত যদি ছবর আলীর (সুপারভাইজার) যাবজ্জীবন হত।
“আমি চাই, আমার বোনের মত আর কেউ যেন এ ধরনের ঘটনার শিকার না হন। দেশের অন্য বিচারপ্রার্থীরা যেন দ্রুত ন্যায়বিচার পান।”
রূপার ছোট বোন পপি বলেন, “এ রায়ে আমরা খুশি। রায় যেন দ্রুত কার্যকর করা হয়। আর আমার পরিবারের পাশে থাকার জন্য সরকার, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, আইনজীবী ও সাংবাদিকদের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।”
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী শামীম চৌধুরী রায়ের পর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এ রায় প্রত্যাশিত নয়। আমার মক্কেলরা ন্যায়বিচার পাননি। আমরা রায়ের কপি পাওয়ার পর এ নিয়ে আপিলে যাব।”
গত ১ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম তাড়াশে রূপার বাড়ি গিয়ে তার পরিবারকে নগদ এক লাখ টাকা দেন এবং রূপার বোন পপিকে সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। পরে সরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান এসেনশিয়াল ড্রাগসের বগুড়ার কার্যালয়ে অফিস সহকারী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।