ব্রহ্মপুত্র নদীর অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে শেরপুর সদর উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। প্লাবিত এলাকার বহু রোপা আমন ও সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
Published : 16 Aug 2017, 08:50 PM
বুধবার ভোরে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পুরনো ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে সদর উপজেলার চর পক্ষীমারী, কামরের চর, চর মোচারিয়া, রোহা, বেতমারী ঘুঘুরাকান্দি ও বলাইর চর ইউনিয়নের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়।
শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে পানি ওঠায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এদিকে, বুধবার দুপুরে ও মঙ্গলবার রাতে বানের পানিতে ডুবে এক কিশোর ও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান দুজনের মৃত্যুর খবর নিম্চিত করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার বেলা ২টার দিকে কামারের চরের শাহাব্দীর চর এলাকায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাছে বন্ধুদের সঙ্গে বন্যার পানিতে গোসল করতে গিয়ে স্রোতের টানে ভেসে যান হাফেজ হানিফ উল্লাহ (১৬)।
বিকাল ৪টার দিকে তার লাশ পাওয়া যায়।
অপরদিকে বেতমারী এলাকায় বন্যার পানিতে পড়ে মঙ্গলবার রাতে মারা গেছে নাঈম নামের চার বছরের এক শিশু।
উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ৩০টির মতো গ্রামের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে বলে ইউএনও হাবিবুর রহমান জানান।
সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ইলিয়াস উদ্দিনের গ্রামের বাড়ি চর পক্ষীমারী ইউনিয়নে।
তিনি জানান, তার নিজের এলাকাও প্লাবিত। এছাড়া আরও কয়েকটি ইউনিয়নের বিরাট এলাকায় পানি উঠেছে। তলিয়ে গেছে ধান ও সবজি ক্ষেত।
শেরপুর জেলা প্রশাসক মল্লিক আনোয়ার হোসেন জানান, বন্যার পানি শেরপুর-জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের চর পক্ষীমারী ইউনিয়নের পোড়ার দোকান এলাকায় কজওয়ের উপর দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
“ফলে ওই মহাসড়কে বুধবার বিকাল থেকে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।”
জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নব কুমার চৌধুরী জানান, বুধবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ব্রক্ষপুত্র নদের পানি ৬৩ সেন্টিমিটিার বৃদ্ধি পেয়ে ব্রহ্মপুত্র সেতু পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।