অসময়ের টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে সৃষ্ট বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকাকে দুর্গত ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।
Published : 12 Apr 2017, 09:40 PM
বুধবার কিশোরগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের এই সাংসদ সরকারের কাছে এই দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি কৃষকদের আগের ঋণের সুদ মওকুফ করে নতুন করে ঋণ প্রদানসহ কৃষি ভর্তুকি ও পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী দেওয়ারও দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, অকাল বন্যায় হাওর এলাকার মোট ফসলি জমির ৫০ থেকে ৫৫ ভাগ নষ্ট হয়ে গেছে। বাকি যেটুকু অবশিষ্ট আছে তাও বর্তমানে হুমকির মুখে। পানি এখনও বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে যেকোনো সময় বাকি ফসল তলিয়ে যেতে পারে।
ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার ২৫টি হাওরের ফসলি জমি তলিয়ে গেছে। এতে প্রায় হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
হাওর এলাকার প্রতিটি নদ-নদী ভরাট হয়ে গভীরতা কমে যাওয়াকে অকাল বন্যার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি নতুন করে নদী খননের আহ্বান জানান।
এলাকার প্রতিটি স্লুইস গেটকে অকেজো দাবি করে রেজওয়ান বলেন, একটি গেটও ঠিকমতো কাজ করে না। এছাড়া প্রতিটি স্লুইস গেটে পানি আটকে রাখার জন্য বাঁধ থাকার কথা থাকলেও একটি স্লুইস গেটেও তা নেই।
প্রেসক্লাবের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলনে তিন উপজেলার জনপ্রতিনিধিসহ বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
ঢলে অকাল বন্যায় কিশোরগঞ্জ, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জে হাওরের বিস্তীর্ণ এলাকার ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।
তবে হাওর এলাকাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণার প্রয়োজন নেই। তা আর প্রয়োজন হবে না বলে মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জে এক জানিয়েছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
হাওরে যেসব কৃষকের ফসল নষ্ট হয়েছে তাদের ঋণ মওকুফে সরকারকে সুপারিশ করা হবে বলে রোববার সুনামগঞ্জে জানিয়েছিলৈন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান।