মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশি কাগজপত্রহীন শ্রমিকদের ইমিগ্রেশনের দেওয়া ই-কার্ড (টেম্পোরারি পাস) নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাই-কমিশন।
Published : 16 Feb 2017, 12:52 PM
স্থানীয় সময় বুধবার থেকে মালয়েশিয়ায় বসবাসকারী সকল কাগজপত্রহীন শ্রমিকদের বৈধতার আওতায় আনার লক্ষ্যে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের ই-কার্ড (টেম্পোরারি পাস) কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ওইদিন বিকালে বাংলাদেশ হাই কমিশনের সাথে সাংবাদিকদের আলাপকালে হাই-কমিশনের লেবার কাউন্সিলর সায়েদুল ইসলাম এ পরামর্শ দেন।
কাউন্সিলর সায়েদুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দাতো শ্রী নাজিব তুন রাজ্জাকের সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করে দেশটিতে বসবাসকারী বাংলাদেশি কাগজপত্রহীন শ্রমিকদের বৈধতার আওতায় আনার অনুরোধ করেন। এ অনুরোধে সাড়া দিয়ে মালয়েশিয়ান সরকার ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে এই ই-কার্ড (টেম্পোরারি পাস) কার্যক্রম শুরু করে। এটি চলমান রি-হায়ারিং প্রোগ্রামেরই একটি অংশ।”
ই-কার্ড (টেম্পোরারি পাস) সম্পর্কে তিনি জানান, যাদের কোনও ধরনের কাগজপত্র নেই, তাদেরকে ডকুমেন্ট দিতে দুই ধরনের টেম্পোরারি পাস দেওয়া হবে। প্রথমত যাদের কোন ধরনের কাগজপত্র নেই, তারা মালিকের মাধ্যমে ইমিগ্রেশনে গেলে তাদেরকে একটি ‘লাল’ টেম্পোরারি পাস দেওয়া হবে। পরে সেই কার্ডটি নিয়ে বাংলাদেশ হাই কমিশনে গিয়ে যথাযথ পত্রিকায় পাসপোর্ট করতে হবে।
সেই পাসপোর্ট নিয়ে আবারও ইমিগ্রেশনে গেলে তাদেরকে ‘নীল’ টেম্পোরারি পাস দেওয়া হবে। এই কার্ডের মেয়াদ হবে এক বছর। এই সময়ের মধ্যে চলমান রি-হায়ারিং প্রোগ্রামে অন্তর্ভুক্ত হয়ে বৈধতার আওতায় আসতে পারবে শ্রমিকরা।
পুলিশি ঝামেলা এড়াতে ও নির্বিঘ্নে কাজ করতে কাগজপত্রহীন প্রবাসী শ্রমিকদের বৈধতার আওতায় আসতে জোর তাগিদ দেন মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা।
অন্যদিকে মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের মহা-পরিচালক মুস্তাফার আলী নিয়োগকর্তাদের কোন এজেন্ট বা দালাল দিয়ে ই-কার্ডের নিবন্ধন না করতে সতর্ক করেন।
তিনি আরও জানান, এই ই-কার্ডের মেয়াদ থাকবে ২০১৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে রি-হায়ারিং পদ্ধতিতে শ্রমিককে নির্দিষ্ট মালিকের মাধ্যমে বৈধ ভিসা করতে হবে। ই-কার্ড করার সময়সীমা এ বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত এবং এরপর আর সময় বাড়ানো হবে না বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ, আড্ডা, আনন্দ বেদনার গল্প, ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা [email protected]। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |