আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগই আবার সরকার গঠন করবে বলে মনে করছে ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট-ইআইইউ।
Published : 12 Dec 2018, 04:04 PM
ডিসেম্বরের শুরুতে বাংলাদেশ বিষয়ে প্রকাশিত সর্বশেষ কান্ট্রি ব্রিফিংয়ে ইকোনমিস্ট গ্রুপের এই গবেষণা উইং বলেছে, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গত কয়েক বছর ভালো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পেয়েছে বাংলাদেশ। তৃণমূলের সমর্থন আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয়ে বড় ভূমিকা রাখবে।
২০১৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশের যে ভবিষ্যত ইআইইউ দেখতে পাচ্ছে, তাতে সন্ত্রাসী হামলা, বিরোধী দলের আন্দোলন এবং জনতার বিক্ষোভের কারণে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হওয়ার আভাসের কথা রয়েছে।
ইআইইউর পূর্বাভাস বলছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা আগামী পাঁচ বছরও অব্যাহত থাকবে। এই সময়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে গড়ে ৭.৭ শতাংশ হারে। বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ও ভোগ বৃদ্ধি এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে।
স্থানীয় বিভিন্ন জরিপে জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার অনেক এগিয়ে থাকার তথ্য তুলে ধরে ইআইইউর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তার ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে অসাধারণ অগ্রগতির পাশাপাশি ভোটের মাঠে একটি কার্যকর বিরোধী শক্তির অনুপস্থিতির কারণে বিএনপি বা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে বড় কোনো চ্যালেঞ্জ গড়ে তুলতে পারবে না বলেই ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট মনে করছে।
তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদেশি বিনিয়োগপ্রাপ্তি অব্যাহত রাখা, এবং দেশের অর্থনীতিতে বেসরকারি খাতের ভূমিকা বাড়াতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয় পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
আর আওয়ামী লীগ সেই জয় পেলে আগামী দিনগুলোতে বঙ্গোপসাগরের তীরে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভৌগলিক অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ প্রতিবেশী ভারত, চীন ও জাপানের কাছ থেকে আরও অর্থনৈতিক সহযোগিতা আদায় করে নিতে পারবে বলে ধারণা করছে ইআইইউ।
অবশ্য রোহিঙ্গা সঙ্কটকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কোন্নয়নের আশু কোনো সম্ভাবনা ইআইইউ দেখছে না।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যে পাঁচ বছরের পূর্বাভাস ইআইইউ দিচ্ছে, তার প্রথম ভাগে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বিষয়টি বড় একটি সমস্যা হিসেবেই থেকে যাবে বলে তারা মনে করছে।