মুক্তিযুদ্ধে বাঙালির বিজয়ের ৪৬ বছর পূর্তি উদযাপনে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ‘জাতীয় ঐক্য সৃষ্টির’ শপথ নিয়ে শোভাযাত্রা করেছে বিএনপি।
Published : 17 Dec 2017, 04:42 PM
জাতীয় পতাকা, নানা রঙের ব্যানার-ফেস্টুন ও রঙিন বেলুন নিয়ে সোমবার বিকালে বিএনপি ও বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের কয়েক হাজার হাজার নেতা-কর্মী-সমর্থক এই শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
বিকাল ৩টায় নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে কাকরাইল মোড়, শান্তিনগর হয়ে বিকাল ৩টা ৩৭ মিনিটে মালিবাগের এসে শেষ হয় এই শোভাযাত্রা।
নেতা-কর্মীরা শোভাযাত্রা থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ ছাড়াও জিয়াউর রহমানের স্মরণে বিভিন্ন শ্লোগান দেন।
এ কর্মসূচি সামনে রেখে দুপুর থেকেই ছোট ছোট মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা নয়া পল্টন সড়কে সমবেত হতে শুরু করেন। বেলা আড়াইটার দিকে ফকিরাপুল থেকে নেতাকর্মীদের ভিড় কাকরাইলের নাইটিঙ্গেল মোড় পর্যন্ত পৌঁছায়।
শোভাযাত্রার অগ্রভাগ যখন মালিবাগের মোড়ে, তখনও শেষ ভাগ নয়া পল্টনের মোড় অতিক্রম করতে পারেনি। শোভাযাত্রা মোড় ঘুরে আবার পল্টনে দিকে চলে যায়।
শোভাযাত্রা শুরুর আগে ট্রাকের ওপর অস্থায়ী মঞ্চে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, “কেবল একদলীয় শাসন প্রবর্তন করার জন্য, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সমস্ত গণতান্ত্রিক অধিকারগুলো কেড়ে নিয়ে আমাদেরকে আজ এই সরকার পদদলিত করতে চায়।
“আমরা বলতে চাই, এভাবে দেশের মানুষকে পদদলিত করে রাখা যাবে না, দাবিয়ে রাখা যাবে না। আসুন শান্তিপূর্ণভাবে এই বিজয় র্যালির মধ্য দিয়ে আমরা গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিকে সোচ্চার করি। এই দিনে আমরা এই লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান করছি।”
আগামী জাতীয় নির্বাচন একটি ‘নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের’ অধীনে করার দাবি এ কর্মসূচিতেও তুলে ধরেন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী দলটির মহাসচিব।
অন্যদের মধ্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মীর সরফত আলী সপু, নুরী আরা সাফা, নাজিমউদ্দিন আলম, সাইফুল ইসলাম নীরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, শফিউল বারী বাবু, সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, আফরোজা আব্বাস, সুলতান আহমেদ, মুন্সী বজলুল বাসিত আনজু, রাজীব আহসান, আসাদুজ্জামান আসাদ উপস্থিত ছিলেন এ কর্মসূচিতে।
বিএনপির এ শোভাযাত্রা ঘিরে নয়া পল্টন থেকে মালিবাগ পর্যন্ত বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব মোতায়েন করা হয়।
শোভাযাত্রার কারণে কাকরাইল, বেইলি রোড, রাজারবাগ, মৌচাক, বিজয়নগরসহ বিভিন্ন সড়কে কয়েকশ যানবাহন আটকা পড়ে। যানজটের কারণে চলতি পথের যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।