‘আগুন নিয়ে খেললে’ জবাবও পাবেন: কাদের

এমন আগুন জ্বলছিল বঙ্গবাজারে, তার ১১ দিনের মাথায় পোড়ে ঢাকা নিউ সুপার মার্কেট।

বিপণি বিতানে সাম্প্রতিক আগুন লাগার ঘটনায় বিএনপিকে নিয়ে সন্দেহের কথা বললেন এবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এসব অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে যদি বিএনপির জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যায়, তবে সমুচিৎ জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।

ঢাকায় পরপর চারটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাশকতার সন্দেহ প্রকাশের পরদিন রোববার ঢাকার কাফরুলে দরিদ্রদের ‘ঈদ উপহার’ বিলি করতে গিয়ে একই সন্দেহের কথা বলেন কাদের।

তিনি বলেন, “আন্দোলন জমাতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি আগুন জ্বালানোর কৌশল বেছে নিল কি না, সেটা এখন বড় প্রশ্ন। এই রহস্য অবশ্যই উদঘাটন করা হবে।

“আগুন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে এখন থেকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে হবে। আগুন নিয়ে খেললে তার সমুচিৎ জবাব দেওয়া হবে। সেজন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।”

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে ‘রহস্যজনক’ বলেছেন। এর নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিও জানিয়েছেন তিনি।

ভোরে একের পর এক আগুন বিরোধীদের নাশকতা কি না, সন্দেহ শেখ হাসিনার

একের পর এক অগ্নিকাণ্ডকে ‘রহস্যজনক’ বলছেন ফখরুল

বিএনপি মহাসচিবকে ‘মিথ্যাবাদী’ আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “রোজা মুখে মির্জা ফখরুল কীভাবে এত মিথ্যা বলে? প্যাথলজিক্যাল লায়ার হচ্ছে ফখরুল। তার মুখ দিয়ে মিথ্যা ছাড়া কিছু শুনবেন না।”

তিনি বলেন, “মির্জা ফখরুল প্রতিদিন বাকশাল-বাকশাল করেন। বাকশালের বিরুদ্ধে কথা বলেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান কেন বাকশালে যোগ দিয়েছিল? বাকশালের বিরুদ্ধে কথা বলার আগে এর উত্তর দেবেন।”

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে বিএনপি নেতাদের বৈঠক নিয়ে কাদের বলেন, “এখন তারা বৈঠক শুরু করেছে বিদেশিদের সাথে, আমেরিকার সাথে। আমেরিকা নাকি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে নির্বাচন নিয়ে। আমেরিকা আমাদেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছে। আমরা মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছি। বৈঠকে পিটার হাস একবারও উদ্বেগের কথা বলেননি। তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে তাদের মাথাব্যথা নেই। মাথাব্যথা বিএনপি এবং সমমনা দলগুলোর।”

বিএনপি দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

কাদের বলেন, “মির্জা ফখরুল অনেক কিছু জানে না। গোপন যে হুকুম আসে লন্ডন থেকে, যারা পায় তারা জানে, সেই পলাতক দণ্ডিত আসামি কি অপকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে।

“বিএনপি বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে চেয়েছিল। আজকে শেখ হাসিনা সেই বাংলাদেশকে সফল রাষ্ট্রে পরিণত করেছেন। বিএনপি মানুষকে ভালোবাসে না, বিএনপি চায় ক্ষমতা। শেখ হাসিনা চায় মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন, বিএনপি চায় তাদের পকেটের উন্নয়ন। দুর্নীতি করে টাকা কামাবে, বিদেশে টাকা পাচার করবে, বাংলা ভাই তৈরি করবে। সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটাবে।”

দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে তিনি বলেন, “সামনে খারাপ দিন। ওরা জানে নির্বাচন হলে শেখ হাসিনার সঙ্গে পারবে না।”

প্রধানমন্ত্রীর ‘ঈদ উপহার’ বিতরণের এই অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু উপস্থিত ছিলেন।