এক বিঘা জমির জন্য চাষি ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার পাবেন প্রণোদনার আওতায়।
Published : 14 Feb 2023, 05:03 PM
সার্বিকভাবে ধান উৎপাদন বাড়াতে আউশের আবাদে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষককে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেবে সরকার; এবার ৫৭ কোটি ২৫ লাখ টাকার প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।
প্রণোদনার আওতায় একজন চাষি এক বিঘা জমিতে আউশ ধান চাষের জন্য প্রয়োজনীয় ৫ কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ১০ কেজি এমওপি সার পাবেন বলে মঙ্গলবার জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
বৃষ্টি নির্ভর আউশের উৎপাদন বাড়াতে বেশ কয়েক ধরেই মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে।
এবার দেশের ১০ লাখ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক এ প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার পাবেন বলে মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারা খাত থেকে এ প্রণোদনা দেওয়া হবে।
মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, মাঠ পর্যায়ে শিগগির প্রণোদনার আওতায় বীজ ও সার বিতরণের কার্যক্রম শুরু হবে।
দেশে তিন মৌসুমে ধান আবাদের মধ্যে বোরো ও আমন চাষ ও উৎপাদন দুটোই বেশি হয়। অপরদিকে আউশ ধানের আবাদ কমছে। বৃষ্টির সময় মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত এ ধানের মৌসুম ধরা হয়। দেশে বোনা ও রোপা আউশ চাষ করা হয়।
কৃষি তথ্য সার্ভিসের তথ্য অনুযায়ী, মার্চের শেষ দিকে বীজ বপন করা হয় আর এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে ১০ মে পর্যন্ত চারা রোপন করা হয়।
এ ধানের আবাদ বৃষ্টি নির্ভর হওয়ায় উৎপাদনে সেচের ব্যয় অনেক কম। এজন্য কৃষি মন্ত্রণালয় ধানের মৌসুমে বদল এনে বিশেষ করে বোরো ধানের চাষ বাদ দিয়ে শস্য পর্যায়ে আউশ অন্তর্ভুক্তের পরামর্শ দিচ্ছে। তাছাড়া
বর্তমানে উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবনের কারণে আউশের অধিক ফলনও পাওয়া যায় বলে জানাচ্ছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
এজন্য সেচের ব্যবস্থা কম এমন এলাকায় বোরোর ওপর চাপ কমানোর পাশাপাশি ভূগর্ভস্ত পানি উত্তোলন কমাতে আউশ ধানের উচ্চফলনশীল জাতের প্রচলন বাড়াতে বেশ কয়েক বছর ধরে প্রণোদনা দিচ্ছে মন্ত্রণালয়।
সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের অংশ হিসেবে আউশ ধানের চাষ বাড়ানোর মাধ্যমে মোট ধান উৎপাদন বাড়ানো ও কৃষকের আয় বাড়াতে এমন উদ্যোগের কথা আগে জানিয়েছিল মন্ত্রণালয়।