রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়ের করা মামলায় ফের অভিযোগপত্র জমা দিতে পারেনি মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ-সিআইডি।
Published : 17 Jan 2017, 04:03 PM
ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মঙ্গলবার মামলার অভিযোগপত্র দাখিলের দিন ধার্য ছিল।
এদিন মামলার তদন্ত কর্তা সিআইডির অতিরিক্ত সুপার রায়হান উদ্দিন খান প্রতিবেদন দাখিল না করায় আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি তা দাখিলের দিন ঠিক করেন ঢাকার মহানগর হাকিম মাহমুদুল হাসান।
এনিয়ে মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য মোট ১০টি ধার্য দিনে পার হলেও প্রতিবেদন জমা হয়নি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জালাল উদ্দিন।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এনিয়ে মোট ১০টি তারিখ প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে যায়। এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বরেও প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ।”
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে সাইবার জালিয়াতির মাধ্যমে চুরি যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার রিজার্ভের অর্থ ফিলিপিন্সের রিজল ব্যাংকে যাওয়ার পর ইতোমধ্যে দেড় কোটি ডলার ফেরত এসেছে, বাকি অর্থ উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ।
বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তোলা এই সাইবার চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের করা মামলায় সিআইডির তদন্তের পাশাপাশি সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন নেতৃত্বে অর্থমন্ত্রণালয়ের একটি কমিটিও তদন্ত করে।
ফরাসউদ্দিনের কমিটি অর্থমন্ত্রীর কাছে ছয় মাসের বেশি আগে প্রতিবেদন জমা দিলেও এ পর্যন্ত কয়েকদফা ঘোষণা দিয়ে তা প্রকাশ করেননি অর্থমন্ত্রী।
রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দেশের অভ্যন্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজগ থাকতে পারে বলে অভিযোগ ওঠার পর বিষয়টি ফিলিপিন্স থেকে চুরি যাওয়া রিজার্ভের বাকি অর্থ উদ্ধারে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে সরকারের।
ইতোমধ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাকি অর্থ ফেরত এলে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হবে।
মন্ত্রীর ভাষ্য, ফিলিপিন্সের রিজল ব্যাংকের অর্থ যাওয়ার পরপর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তা ছাড় না করতে বলা হলেও তারা তা শোনায় ব্যাংকটি দায় এড়াতে পারে না। সেক্ষেত্রে ফরাসউদ্দিন কমিটির তদন্ত রিপোর্টে নিজেদের দায় এড়িয়ে সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করতে পারে রিজল ব্যাংক।