৩৩ দিন নিয়ন্ত্রণে রাখার পর পর ১৩ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে চলে যায়।
Published : 22 Apr 2024, 11:49 PM
সোমালি জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্ত বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরের জেটিতে ভিড়েছে।
এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া ফোকাল পারসন মিজানুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সোমবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে ভিড়েছে জাহাজটি।
তখন সেখানকার বাংলাদেশ দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবু জাফরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং জাহাজ পরিচালনাকারী এসআর শিপিং এর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমভি আবদুল্লাহর জিম্মি দশার সেই দিনগুলো
দুবাইয়ে এমভি আবদুল্লাহ: কয়লা খালাস ও পণ্য বোঝাইয়ে লাগবে ৮ দিন
রোববার এমভি আবদুল্লাহ ওই বন্দরের বহির্নোঙরে নোঙর করেছিল।
১২ মার্চ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাবার পথে সোমালিয়া উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। অস্ত্রের মুখে জাহাজ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করা হয় বলে জানায় মালিকপক্ষ।
এর ৩৩ দিন পর ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ৩টার দিকে জলদস্যুরা জাহাজ ছেড়ে চলে যায়। এরপর গন্তব্য দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় জাহাজটি।
১৪ এপ্রিল দুপুরে এমভি আবদুল্লাহর চিফ অফিসার আতিকুল্লাহ খানের দেওয়া ফেইসবুক পোস্টের একটি ছবিতে মুক্ত নাবিকদের পাশে অপারেশন আটলান্টার কমান্ডোদের দেখা যায়।
তারপর ১৫ এপ্রিল বিকেলে ইইউএনএভিএফওআর অপারেশন আটলান্টা মিশন তাদের টুইট বার্তায় এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার ছবি প্রকাশ করে।
ওইদিন রাতে কবির গ্রুপ তাদের প্রতিবেদনে জানায়, নিরাপদ এলাকায় না পৌঁছা পর্যন্ত ইইউএনএভিএফওআর এর যুদ্ধজাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে পাহারা দিয়ে নিয়ে যাবে।
সোমালি উপকূল পেরিয়ে এডেন উপসাগর হয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছে এমভি আবদুল্লাহ। মুক্তির পর প্রায় ৪৮০ নটিক্যাল মাইল উচ্চ ঝুঁকির এলাকা পার হতে হয়েছে জাহাজটিকে।