প্রতিষ্ঠার ১৬ বছর পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র ছাত্রীহলের দুয়ার খুলল; অবসান হলো শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ অপেক্ষার।
Published : 16 Mar 2022, 04:30 PM
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে কয়েক মিনিটের হাঁটা পথে লিয়াকত এভিনিউয়ে গড়ে তোলা হয়েছে ১৬ তলা এ আবাসিক ভবন।
সেই বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার্থীরা উঠবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে।
বুধবার দ্বারোদ্ঘাটন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। শিক্ষার্থীরা ওঠার পর হলে আসারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক শামীমা বেগম বলেন, “এত বছর পরে হলটা হয়েছে; দিনটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আনন্দের৷ এই হলের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বটা শিক্ষার্থীদেরও নিতে হবে।"
অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ছাত্রদের একটি হল করার দাবি ওঠে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমানের বক্তব্যে।
গেল ২৪ ফেব্রুয়ারি এ হলের আসন বরাদ্দের জন্য ১২০০ শিক্ষার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়। হলের তৃতীয় থেকে ১৬তলা পর্যন্ত ছাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। আর নিচতলা ও দোতলায় করা হয়েছে ক্যান্টিন আর রিডিং রুম।
হল পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। ইংরেজি বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিমা বালা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি খুবই এক্সাইটেড। কখন হলে উঠব সে প্রহর গুণছি৷ এতদিন পর আমাদের হল হয়েছে, খুবই ভালো লাগছে৷"
উদ্ভিদবিজ্ঞান বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী তারিন ফেরদৌস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রথম হল; সেখানে জায়গা পেয়েছি, খুবই ভালো লাগছে৷ এখানে জায়গা পাব- তা ভাবিনি, কারণ একটাই হল আমাদের।”
ঐতিহ্যবাহী শিক্ষালয়টি কলেজ থাকাকালে পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বেশ কয়েকটি ছাত্রাবাস থাকলেও পরে তা বেদখল হয়ে যায়।
২০০৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা নিয়মিতই বেদখল হল পুনরুদ্ধার ও নতুন হল নির্মাণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন।
পরে ২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ৩/১ লিয়াকত এভিনিউয়ের পরিত্যক্ত জায়গাটি দখল করে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ছাত্রী হলের ব্যানার টাঙিয়ে দেয়।
এক বছর পর ২০১৩ সালের ২৫ অগাস্ট শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বৈঠকে সেখানে এক হাজার ছাত্রীর জন্য ২০তলা দুটি টাওয়ার নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়।
পরে ওই বছরের ২২ অক্টোবর তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ ১৬তলা হলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
পরে কাজের ধীরগতির কারণে নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ কয়েক দফা বাড়াতে হয়েছিল।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে হলের উদ্বোধন করেন তৎকালনী উপাচার্য অধ্যাপক মীজানুর রহমান।