দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে হল খুলে দেওয়ার আন্দোলনের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও একটি হলে ঢুকে পড়েছেন একদল শিক্ষার্থী।
Published : 22 Feb 2021, 01:13 PM
অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থীর ওই দলটি সোমবার সোয়া ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের প্রধান ফটকের শিকল খুলে ভেতরে ঢুকে পড়েন। এ সময় হলের নিরাপত্তাকর্মীরা উপস্থিত থাকলেও কাউকে বাধা দিতে দেখা যায়নি।
প্রায় ঘণ্টাখানেক হলের ভেতরে অবস্থান শেষে দুপুর সোয়া একটা দিকে শিক্ষার্থীরা হল থেকে বেরিয়ে যান এবং দ্রুত হল খোলার দাবিতে বিকেল ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধনের কর্মসূচি দেন।
শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে হলে উঠতে চাই। তাই দ্রুত হলে খুলে দেওয়ার দাবিতে বিকেলে মানববন্ধন করব। এই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনকেও স্মারকলিপি দেওয়া হবে।"
শহীদুল্লাহ হলের সদ্য সাবেক জিএস ইরফানুল হাই মো. সৌরভ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “হল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় ক্ষতি হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা আজকে দলবেঁধে হলে এসে দ্রুত হল খোলার দাবি জানিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উচিত, শিক্ষার্থীদের এই যৌক্তিক দাবি মেনে নিয়ে দ্রুত হল খোলার ব্যবস্থা করা।”
শিক্ষার্থীরা যখন হলে ঢোকেন, প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ন আখতার তখন সেখানে ছিলেন না।
পরে টেলিফোনে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আমি অনলাইন ক্লাসে ছিলাম। হলের কেয়ারটেকার আমাকে বলেছে, শিক্ষার্থীরা তাদের জিনিসপত্র নিতে এসেছে। প্রত্যেক দিনই চার পাঁচ জন করে আসে। তবে আজ অনেকে একসঙ্গে এসেছে, ছবি তুলেছে। তারা এখন হল থেকে বেরিয়ে গেছে।"
এদিকে দ্রুত হল খোলার দাবিতে দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হলের সামনেও একদল শিক্ষার্থীকে অবস্থান করতে দেখা যায়।
ওই সময় ২০-৩০ জন শিক্ষার্থী জোর করে হলে ঢুকে পড়েন। প্রায় আধা ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করে শিক্ষার্থীরা হল খুলে দেওয়ার দাবি সংবলিত লিফলেট-পোস্টার সাঁটিয়ে দিয়ে বেরিয়ে আসেন। দ্রুত হল খোলার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ারও ঘোষণা দেন তারা।
এ বিষয়ে অমর একুশে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইসতিয়াক এম সৈয়দ বলেন, "শিক্ষার্থীরা হলে ঢুকেছিল, এখন বের হয়ে গেছে। আবাসিক হল খুলে দেওয়া এখতিয়ার হল প্রশাসনের নেই। এটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং এই প্যানডেমিক সিচুয়েশনে সরকারের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে ।"