বাংলাদেশকে দুধে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে সমন্বিত পদক্ষেপ প্রয়োজন বলে মতামত এসেছে এক আলোচনায়।
Published : 17 Feb 2019, 06:33 PM
শনিবার সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে প্রাণ ডেইরি কমপ্লেক্সে এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এ বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন।
‘প্রাণ ডেইরি হাব ও সম্ভাবনাময় দুগ্ধ শিল্প’ বিষয়ক এই আলোচনার আয়োজন করে প্রাণ ডেইরি লিমিটেড।
দেশের বিভিন্ন স্থানের ভোক্তাদের প্রাণের দুধ সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কার্যক্রম দেখাতে আয়োজন করা হয় দুই দিনব্যাপী ‘প্রাণ মিল্ক জার্নি’ কর্মসূচি।
এ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া ৬০ জন ভোক্তার পাশাপাশি প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিউটের কর্মকতা, খামারি এবং এনজিও প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন বলে প্রাণ-আএফএল গ্রুপের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হীরেশ রঞ্জন ভৌমিক বলেন, ২০০৫ সালে বাংলাদেশে দুধের উৎপাদন ছিল ১২ লাখ টন। ২০১৮ সালে তা বেড়ে ৯৪ লাখ টনে দাঁড়িয়েছে।
দুধের দাম না বাড়িয়ে উৎপাদন খরচ কমানোর উপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “এ ব্যাপারে সরকার নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছে যাতে কৃষকরা কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্থ না হয়।”
অনুষ্ঠানে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডীন মাহবুব-ই-এলাহী বলেন, দুধ মিনারেল, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার। এ বিষয়টি মানুষের মাঝে বেশি করে তুলে ধরতে হবে।
একইসঙ্গে বিভিন্ন ধরনের ফ্লেভার্ড মিল্ক জনপ্রিয় করে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নাদিরা সুলতানা দুধের মান্নোনয়নে কৃষক পর্যায় থেকে কাজ শুরু করতে তাগিদ দেন।
“বাংলাদেশে অনেক গবেষণা হয়। কিন্তু সেসব গবেষণা কৃষক পর্যন্ত পৌঁছায় না। গবেষণার ফলাফল কৃষকের কাছে পৌঁছাতে হবে।”
“প্রাণ দুধ সংগ্রহের সময় এর গুণাগুণ, গন্ধ, রঙ এবং ঘনত্ব জানতে বিভিন্ন টেস্ট করে। দুধে ফরেন পার্টিকেল, ময়লা রয়েছে কিনা বা দুধের স্বাদ ও গন্ধ অক্ষুণ্ণ রয়েছে কি না তা পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া দুধের ফ্যাট, সিএলআর, সিওবি, সোডা, অ্যালকোহলিক এবং ফরমালিন টেস্ট করা হয়।”
‘প্রাণ মিল্ক জার্নি’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন অভিনেত্রী বাঁধন, স্বাগতা এবং অভিনেতা ইমন।