মোবাইল নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদল বা এমএনপি সেবা শুরুর পর ১৮ দিনে অপারেটর বদলেছেন প্রায় ২৭ হাজার গ্রাহক।
Published : 21 Oct 2018, 06:38 PM
রোববার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির এক পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য মিলেছে।
গত ১ অক্টোবর থেকে শুরু হয় এমএনপি সেবা।
বিটিআরসির পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত অপারেটর বদলের জন্য মোট আবেদন হয়েছে ৪৭ হাজার ৯০টি। এর মধ্যে সফল হয়েছে ২৬ হাজার ৮১৭টি, বাতিল হয়েছে ২০ হাজার ২৫৫টি এবং অপেক্ষায় রয়েছে ১৮টি।
টেলিটক গ্রামীণফোন থেকে ১২৩, রবির ১৪০, বাংলালিংকের ৭১ জন মিলিয়ে মোট ৩৩৪ জন গ্রাহক পেয়েছে।
গ্রামীণফোন টেলিটকের ৪৬, রবির ২৬৪৩, বাংলালিংকের ১৩৫২ জনসহ মোট ৪০৪১ জন গ্রাহক পেয়েছে।
রবি টেলিটকের ১৬৫, গ্রামীণফোনের ৯২৫৮, বাংলালিংকের ৭৪৯৩ জনসহ মোট ১৬ হাজার ৯১৬ গ্রাহক পেয়েছে।
এমএনপি প্রক্রিয়ায় টেলিটকে আসতে বাধা পেয়েছেন ১৩১ জন, গ্রামীণফোনে ২৬৩১ জন, রবিতে ১৩৪০৬ জন ও বাংলালিংকে ৪০৮৭ জন।
নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলাতে একজন গ্রাহককে ৫০ টাকা ফির সঙ্গে সিম রিপ্লেসমেন্ট ট্যাক্স এবং ভ্যাটসহ মোট ১৫৮ টাকা দিতে হচ্ছে।
গত নভেম্বরে লাইসেন্স পাওয়া বাংলাদেশ ও স্লোভেনিয়ার কনসোর্টিয়াম ইনফোজিলিয়ন বিডি-টেলিটেক এই সেবার জন্য ‘নম্বর পোর্টেবিলিটি ক্লিয়ারিং হাউজের’ কাজ করছে।
বিটিআরসির হিসাবে, অগাস্ট পর্যন্ত দেশে চারটি মোবাইল ফোন অপারেটরের মোট গ্রাহক সংখ্যা ১৫ কোটি ৪১ লাখ ৭৯ হাজার।
এর মধ্যে সাত কোটি ৭ লাখ ৯ হাজার গ্রাহক নিয়ে শীর্ষে রয়েছে গ্রামীণফোন।
তাদের পরে রয়েছে রবি, তাদের গ্রাহক সংখ্যা চার কোটি ৬১ লাখ ৩২ হাজার।
বাংলালিংকের গ্রাহক তিন কোটি ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার এবং রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা ৩৮ লাখ ৭৩ হাজার।
বর্তমানে বিশ্বের ৭২টি দেশে এমএনপি সেবা চালু আছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত ২০১১ এবং পাকিস্তান ২০০৭ সাল থেকে এমএনপি সেবা দিচ্ছে।