মঙ্গলবার টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির এক তথ্যে এ চিত্র উঠে এসেছে।
গত ১ অক্টোবর থেকে শুরু হয় এমএনপি সেবা।
বিটিআরসির পরিসংখ্যাণে দেখা গেছে, এমএনপি সেবা শুরু পর প্রথম পাঁচ দিনে অপারেটর পরিবর্তনের আবেদন আসে মোট ১০ হাজার ১২২টি। আবেদন সফল হয় ৪ হাজার ১৮১টি এবং বাতিল হয় ৫ হাজার ৮৬২টি। এছাড়া আবেদন অপেক্ষমান আছে ৭৯টি।
এ সময়ে রবিতে অন্য অপারেটর থেকে দুই হাজার ৩৪১, বাংলালিংকে এক হাজার ৮৯, গ্রামীণফোনে ৬৮২ এবং টেলিটকে ৮৯ জন গ্রাহক এসেছে।
গ্রামীণফোন থেকে এক হাজার ৩৬৫, বাংলালিংক থেকে ৯২৬, টেলিটক থেকে ৮২ জন গ্রাহক রবিতে এসেছে।
গ্রামীণফোন থেকে ৪৫০, রবি থেকে ৬০৪ এবং টেলিটক থেকে ২৩ জন গ্রাহকসহ মোট এক হাজার ৮৯ জন বাংলালিংকে এসেছে।
আর রবি থেকে ৩৭ , গ্রামীণফোন থেকে ২৮ এবং বাংলালিংক থেকে ২৪ জনসহ মোট ৮৯ জন গ্রাহক টেলিটকে এসেছে।
বিটিআরসির তথ্য অনুযায়ী , অপারেটর টেলিটকে গ্রামীণফোন ১৬, রবি ১৮, বাংলালিংক ১১ জন মোট ৪৫ গ্রাহক যেতে পারেনি বা আবেদন বাতিল হয়েছে।
টেলিটকের ১৬৪, রবির ৪১৪, বাংলালিংকের ২৫৫ জনসহ মোট ৮৩৩ জন গ্রাহক গ্রামীণফোনে যেতে পারেনি।
টেলিটকের ৩২২, গ্রামীণফোন এক হাজার ৯৭৫ এবং বাংলালিংকের এক হাজার ২৫৩ সহ মোট তিন হাজার ৫৫০ জন গ্রাহক রবিতে যেতে পারেনি।
টেলিটক থেকে ৯৩, গ্রামীণফোন থেকে ৭৯১, রবি থেকে ৫৫০ গ্রাহকসহ মোট এক হাজার ৪৩৪ গ্রাহক বাংলালিংকে যেতে পারেনি বা আবেদন বাতিল হয়েছে।
গ্রামীণফোন থেকে ২ হাজার ৭৮২, টেলিটক থেকে ৫৭৯, রবি ৯৮২ এবং বাংলালিংক থেকে এক হাজার ৫১৯ জন গ্রাহক অপারেটর বদলে ছাড় পায়নি।
আগের নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলাতে একজন গ্রাহককে ৫০ টাকা ফির সঙ্গে সিম রিপ্লেসমেন্ট ট্যাক্স এবং ভ্যাটসহ মোট ১৫৮ টাকা দিতে হবে।
গত নভেম্বরে লাইসেন্স পাওয়া বাংলাদেশ ও স্লোভেনিয়ার কনসোর্টিয়াম ইনফোজিলিয়ন বিডি-টেলিটেক এই সেবার জন্য ‘নম্বর পোর্টেবিলিটি ক্লিয়ারিং হাউজের’ কাজ করছে।
বিটিআরসির হিসাবে, অগাস্ট মাস পর্যন্ত দেশে চারটি মোবাইল ফোন অপারেটরের মোট গ্রাহক সংখ্যা ১৫ কোটি ৪১ লাখ ৭৯ হাজার।
এর মধ্যে সাত কোটি ৭ লাখ ৯ হাজার গ্রাহক নিয়ে শীর্ষে রয়েছে গ্রামীণফোন। তাদের পরে রয়েছে রবি, তাদের গ্রাহক সংখ্যা চার কোটি ৬১ লাখ ৩২ হাজার। বাংলালিংকের গ্রাহক তিন কোটি ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার এবং রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা ৩৮ লাখ ৭৩ হাজার।
বর্তমানে বিশ্বের ৭২টি দেশে এমএনপি সেবা চালু আছে। প্রতিবেশী দেশ ভারত ২০১১ সাল থেকে এবং পাকিস্তান ২০০৭ সাল থেকে এমএনপি সেবা দিচ্ছে।