প্রাইম মুভার-ট্রেইলার মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদসহ পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের কয়েকটি সংগঠনের ডাকা ধর্মঘটের কারণে আমদানি রপ্তানি ব্যাপকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
Published : 29 Sep 2016, 11:30 PM
ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি অব্যাহত রাখার স্বার্থে অবিলম্বে সরকার, বন্দর কর্তৃপক্ষ, শ্রমিক সংগঠন ও চট্টগ্রাম সিটিকরপোরেশনকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা।
বৃহস্পতিবার এফবিসিসিআই মহাসচিব মীর শাহাবুদ্দিন মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যথাসময়ে পণ্য রপ্তানি সম্ভব না হওয়ায় বিদেশি ক্রেতাদের সাথে সম্পর্কে ‘নেতিবাচক প্রভাব’ পড়ছে এবং দেশের রপ্তানিখাতে ভাবমূর্তি সঙ্কট তৈরি হয়েছে।
“এ পরিস্থিতিতে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পসহ সকল রপ্তানি খাতের পণ্য পরিবহন সচল রাখার লক্ষ্যে এফবিসিসিআই অবিলম্বে এই কর্মবিরতি প্রত্যাহারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”
মহাসড়কে পণ্যবাহী গাড়ির অতিরিক্ত চাপ কমাতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ গত ১৬ অগাস্ট গাড়ি ভেদে পণ্য পরিবহনের ওজন নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। নির্ধারিত ওজনের বেশি বহন করলে স্তরভেদে দুই থেকে ১২ হাজার টাকা জরিমানা করার কথা বলা হয় সেখানে। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ১৪ চাকার প্রাইম মুভার সর্বোচ্চ ৩৩ টন পর্যন্ত মালামাল বহন করতে পারবে।
এরপর প্রাইমমুভার-ট্রেইলর মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দাউকাদন্দি ওজন স্কেলে প্রাইম মুভার চালক শ্রমিকদের মারধর ও হয়রানির অভিযোগ তুলে পরদিন থেকে লাগাতার ধর্মঘট শুরু করে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে পরিবহন মালিক শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জেলা প্রশাসক শামসুল আরেফীন। কিন্তু সেখানে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় চট্টগ্রাম জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন ধর্মঘটে সংহতির ঘোষণা দেয়।
ওই দুই সংগঠনের পক্ষ থেকে শনিবার সব ধরনের পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, দাবি পূরণ না হলে রোববার থেকে বৃহত্তর চট্টগ্রামে যাত্রী ও পণ্যবাহী সব যানবাহনের ধর্মঘট শুরু হবে।
এফবিসিসিআইয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণ্যিজের পণ্যবাহী কন্টেইনারের ৯৭ শতাংশ চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে আনা-নেওয়া করা হয়। চলমান কর্মবিরতির ফলে কন্টেইনারবাহী গাড়ি মালিকদের সংগঠনটির ৮ হাজার গাড়িতে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের কন্টেইনার পরিবহন বন্ধ রয়েছে।
“পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে যাতে এই ওজনের বিষয়টি যথাযথভাবে মেনে চলা হয় এবং রপ্তানিকারকরা কোনো ধরনের হয়রানির মুখে না পড়েন, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানাচ্ছে এফবিসিসিআই।”