১৬ কোটি মানুষের সরকার প্রধান হওয়ার বা থাকার অভিলাষ বড় শক্তিশালী – বড়ই শক্তিশালী – ভয়াবহ শক্তিশালী। যেই সেই মানুষের সেই সাহস হওয়ার কথা না। যে এই ১৬ কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্কার প্রতিক হতে চায় তার যে দুর্দান্ত সাহস ভর করে তাতে এখন মনে হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু কোনো ব্যাপার না। এসব তাকে বিন্দুমাত্র আঁচড় দিতে পারে না। এ সাহস অতুলনীয় – স্বৈরাচারী – অপ্রকৃতিগ্রস্থ এবং এর সাথে জনগণের কল্যাণের আগ্রহ থাকার সম্ভাবনা মহাজিরো পার্সেন্ট। জনগণ মরছে আর ১৬ কোটির ত্রাতা হিসাবে আবির্ভূত হবার যুদ্ধ চলছে।
শাসন ক্ষমতায় যাবার জন্য যদি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচীর কারণে একজন মানুষও মারা যায় তাহলে সেই রাজনৈতিক দল চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ – একজন মানুষ মানে একজনই, সে সরকারী দলের হোক, বিরোধী দলের হোক, পুলিশ হোক বা ক্রসফায়ারের কোনো সন্ত্রাসী হোক। শুধু খুনের কথা কেনো বলি, যদি একজন মানুষের একটা অঙ্গহানিও ঘটে, একটা চড়-থাপ্পড়ও মারা হয় তাহলে সেই রাজনৈতিক দলই সন্ত্রাসী – অনুপযুক্ত – ব্যর্থ। দেশ পরিচালনা করার ক্ষমতায় তারা অধিষ্ঠিত হলে জনগণ রক্ষার বিষয়টি যে সবচেয়ে – সবার চেয়ে – সর্বাগ্রে – সিরিয়াস গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হয় – এটা ঐ অনুপযুক্ত রাজনৈতিক দলসমূহ বুঝবে না, বরঞ্চ জনগণকেই মারতে থাকবে।
একজন মানুষের – ইয়েস ওয়ান সিঙ্গেল মানুষের জীবনের নিরাপত্তা যদি এই রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক দলসমূহ বিঘ্নিত করে তারপরেও এই নেতাসমূহ কিভাবে হাসতে পারে? হাউ কাম? কে দিয়েছে এদের এই অমার্জনীয় স্পর্ধা?