এর আগে ২০১২ সালে সেকশনাল রেয়াত প্রত্যাহার করা হয়।
Published : 22 Apr 2024, 07:22 PM
ট্রেনে যাত্রী টানতে তিন দশক আগে বাংলাদেশ রেলওয়ে যে রেয়াতি সুবিধা চালু করেছিল, সেই সুবিধা উঠে যাচ্ছে আগামী ৪ মে।
ফলে সেদিন থেকে ১০০ কিলোমিটারের বেশি যাত্রায় বর্তমানের চাইতে বেশি ভাড়া গুনতে হবে যাত্রীদের।
বাংলাদেশ রেলওয়ের সোমবারের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ১৯৯২ সাল থেকে বাংলাদেশ রেলওয়েতে দূরত্বভিত্তিক ও সেকশনভিত্তিক রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হয়। ২০১২ সালে ‘সেকশনাল রেয়াত’ বাতিল করা হলেও দূরত্বভিত্তিক রেয়াত চালু ছিল।
সম্প্রতি বাংলাদেশে রেলওয়ে যাত্রীবাহী ট্রেনগুলোতে নতুন করে ভাড়া না বাড়িয়ে দূরত্বভিত্তিক রেয়াত প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ৪ মে থেকে কার্যকর করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
রেল কর্মকর্তারা বলছেন, রেয়াতি ব্যবস্থার কারণে দূরপাল্লার ট্রেনে ছাড় পেয়ে থাকেন যাত্রীরা। এ ব্যবস্থায় ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ছাড় নেই। তবে ১০১ থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরত্বের ভ্রমণে ভাড়ার ওপর রেয়াতের হার ২০ শতাংশ।
আর ২৫১ থেকে ৪০০ কিলোমিটারের জন্য রেয়াতের হার ২৫ শতাংশ এবং ৪০১ কিলোমিটারের উপর ৩০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়।
ট্রেন ভাড়ায় রেয়াতি প্রত্যাহারের প্রশ্নে সিদ্ধান্ত এখনই নয়
রেয়াতি সুবিধা প্রত্যাহারের বিষয়ে সম্প্রতি রেলমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যখন রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হয়েছিল, তখন তো রেলে প্যাসেঞ্জার চড়ত না। তখন রেয়াত দিয়ে যাত্রীদের আকর্ষণ করা হত। এখন তো ট্রেনে প্যাসেঞ্জার ওঠে, পর্যাপ্ত যাত্রী ওঠে ট্রেনে।
“আবার আমরাও এখন লোকসানে চলছি। সুতরাং এই মুহূর্তে রেয়াত সুবিধা তো আর রাখার দরকার নেই।”
২০১২ সালের অক্টোবর মাসে সর্বনিম্ন ৫ থেকে সর্বোচ্চ ১১০ শতাংশ পর্যন্ত ভাড়া বাড়িয়েছিল রেলওয়ে। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে আরেক দফা বাড়ানো হয় রেলের ভাড়া। সে সময় রেলের ভাড়া বাড়ানো হয় ৭ থেকে ৯ শতাংশ।