চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় স্থানীয় শাহ আলমসহ জড়িতদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
Published : 25 May 2015, 04:14 PM
এই নির্দেশ বাস্তবায়ন হল কি না, সে বিষয়ে আগামী ১৫ জুন রাঙ্গুনিয়া থানার ওসিকে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।
‘কপস লেভেল টিনেজ বয় এজ সিস্টারস ভায়েলেটর’ শিরোনামে ইংরেজি দৈনিক ইনডিপেন্ডেন্টে গত ২৩ মে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া এই রিট আবেদন করেন।
আদালত ওই প্রতিবদনের ভিত্তিতে ‘এফআইআর’ গ্রহণ করতে রাঙ্গুনিয়া থানাকে নির্দেশ দিয়েছে।
রিট আবেদনের পক্ষে জ্যোতির্ময় বড়ুয়া নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যার্টনি জেনারেল তাপস কুমার বিশ্বাস।
আদেশের পর জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “১২ বছরের একটি মেয়ে স্থানীয় শাহ আলমের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করত। ওই মেয়ের সঙ্গে শাহ আলম শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এক পর্যায়ে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এরপর শাহ আলম মেয়েটিকে জোর করে গর্ভপাতে বাধ্য করে।”
পরে স্থানীয়রা শাহ আলমকে থানায় সোপর্দ করলেও পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। ধর্ষিতার মা ৮ মে রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ তাকে ফিরিয়ে দেয় বলেও জানান এই আইনজীবী।
“পরে ক্ষতিগ্রস্তের মা ও ভাইকে তুলে নিয়ে থানায় নির্যাতন করা হয়। আসামির নামের পরিবর্তে ভাইয়ের নাম যুক্ত করে তারা ধর্ষিতাকে ভাইয়ের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দিতে বাধ্য করে।”
মামলা নিতে অস্বীকার করা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং শাহ আলমসহ আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে রুল চেয়েছে আদালত। রুলের জবাব দিতে হবে চার সপ্তাহের মধ্যে।
স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরির্দশক, চট্টগ্রাম অঞ্চলের ডিআইজি, চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার, রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি, উপ পরিদর্শক মজিবুব রহমান ও মরিয়ম নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিচালকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।