সিলেটে ২০ দলের হরতালের মধ্যে ছাত্রদলের নবগঠিত কমিটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পদবঞ্চিতদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
Published : 22 Sep 2014, 09:54 AM
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর নয়াসড়ক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিজেদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন নতুন কমিটিতে পদ পাওয়া ও পদ না পাওয়া দুটি অংশের নেতাকর্মীরাই।
নতুন কমিটিতে পদ না পাওয়া জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরী বলেন, “নবগঠিত সিলেট জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের কমিটিকে সিলেটে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে। তারা মিছিল করায় ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়েছে।”
তিনি বলেন, “পুলিশ যাওয়ার আগেই দুই পক্ষের নেতা কর্মীরা দৌড়ে চলে যায়।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল সাড়ে ৮টায় নয়াসড়ক এলাকায় নবগঠিত সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি নূরুল আলম সিদ্দিকী খালেদের নেতৃত্বে হরতালের সমর্থনে একটি মিছিল বের হয়।
এ সময় পদবঞ্চিত পক্ষের মাহবুবুল হক চৌধুরী, সিলেট মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক রেজাউল করিম নাচনসহ নেতাকর্মীরা ধাওয়া করে।
এ সময় কয়েকটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
পদবঞ্চিত পক্ষের এক কর্মী মোটরসাইকেল থেকে পড়ে আহত হয়েছেন বলে জানা গেলেও তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। চিকিৎসার জন্য তাকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নতুন কমিটির সভাপতি নূরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ বলেন, ‘‘ছাত্রদল মিছিল বের করলে পদবঞ্চিত একটি অংশ ধাওয়া করে। সংঘর্ষের আশঙ্কায় আমাদের নেতাকর্মীরা নিরাপদে সরে যায়।”
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাঈদ আহমদকে সভাপতি ও রাহাত চৌধুরী মুন্নাকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা এবং নূরুল আলম সিদ্দিকী খালেদকে সভাপতি ও আবু সালেহ মো. লোকমানকে সাধারণ সম্পাদক করে মহানগর কমিটি ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল।
শুক্রবার দুপুরেও এ নিয়ে ছাত্রদলের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
‘ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের বাদ দিয়ে ছাত্রদলের নতুন কমিটিতে ‘সুবিধাভোগী, নিষ্ক্রিয়, অযোগ্য ও অছাত্রদের’ রাখা হয়েছে দাবি করে এবং নতুন কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন পদবঞ্চিতরা।