এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান।
Published : 04 May 2014, 10:20 PM
রোববার বিকালে নারায়ণগঞ্জ রাইফেল ক্লাবে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “প্রধামন্ত্রীর কাছেও আমি একই আবেদন জানিয়েছি।”
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ যদি জড়িত হয়ে থাকে, তবে তা তদন্তের মাধ্যমে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শামীম ওসমান বলেন, নূর হোসেন দল করে, কিন্তু তার লোক নন। কেউ অন্যায় করলে তিনি তাকে অন্যায় কাজে প্রশ্রয় দেন না বলে জানান।
একটি পত্রিকায় মেয়র আইভীর বক্তব্যের প্রসঙ্গে শামীম ওসমান বলেন, সুফিয়ান তার লোক। এই সুফিয়ানের সঙ্গে নূর হোসেনের কথোপকথনের একটি রেকর্ড রয়েছে, যেখানে তাদের (শামীম ওসমানদের) তিন ভাইকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়েছে।
এ থেকে স্পষ্ট হয় নূর হোসেন আইভীর লোক, দাবি শামীমের।
রাইফেল ক্লাব থেকে শামীম ওসমান সিদ্ধিরঞ্জের সানারপাড় এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়েকর পাশে আয়োজিত জনসভায় যান, যেখানে কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদ চেয়ারম্যান ছিলেন।
আওয়ামী লীগের এই সাংসদ বলেন, “আমার ক্ষমতা হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্টমন্ত্রী ও পুলিশকে জানানো পর্যন্ত। আমি সেটা করেছি। কিন্তু আমি অসহায়।”
শামীম ওসমানের দাবি, নারায়ণগঞ্জের দ্বিতীয় ক্ষমতাশালী লোক হলেন সুফিয়ান। সব ঠিকাদারি কাজ তিনি করেন।
তিনি ৩০/৩২ মিনিটের একটি রেকর্ড পাওয়ার দাবি কলেন জানান, ওই রেকর্ডে দেখা গেছে, সুফিয়ান, সেলিম ও হোসেন বসে বৈঠক করছে। সেখানে তাকে (শামীম) ও তার তিন ভাইকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছে।
এরাই নজরুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে বলে শামীম ওসমান দাবি করেন।
হোসেনকে তিনি নিজের লোক মনে করতেন সত্য, কিন্তু এই সিডি পাওয়ার পর তার ভুল ভেঙ্গেছে বলে জানান।
তিনি বলেন, “আমাকে ১৮ এপ্রিল হুমকি দিয়ে বলেছে, আমার কঠিন পরণতি হবে। আমি জানি না এই ঘটনায় পুলিশ জড়িত না র্যাব জড়িত। আমি জানি আমার ভাই মরছে। আমি এই হত্যাকান্ডের বিচার চাই।
“আমার আদর্শ হাসিনা। তিনি কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন না। আপনারা প্রতিশ্রুতি দেন আমার সঙ্গে মাঠে থাকবেন কি না।”
সিডির প্রসঙ্গে শামীম ওসমান আরো বলেন, সিডি শুনে এটাই প্রমাণিত হয় যে, এই হত্যায় হোসেন জড়িত। এর আগে ইকবাল এক কোটি টাকা দিয়ে নজরুলকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। তখন তিনি (শামীম) তাকে বাঁচিয়ে নিয়ে এসেছিলেন।
কাজেই এই ঘটনায় ইকবালও জড়িত বলে তিনি দাবি করেন।
মামলার অপর আসামি হাসু হলো বোবা ডাকাত। যাদের নামে মামলা হয়েছে, তারা সবাই জড়িত। তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানান তিনি।
জনসভা শেষে শামীম ওসমান কয়েকজন ব্যক্তির অডিও টেপ উপস্থিত জনতাকে শুনিয়ে বলেন, এটাই সেই রেকর্ড টেপ (সুফিয়ান, সেলিম ও হোসেনের)।