জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিষয়টি এখন আর ‘দুরূহ ব্যাপার নয়’ মন্তব্য করে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার বলেছেন, এ ব্যাপারে সরকারের আন্তরিকতাই মুখ্য।
Published : 14 Aug 2013, 01:32 PM
নিবন্ধন বাতিলের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর ৪৮ ঘণ্টার হরতাল প্রত্যাখান করে বুধবার গণজাগরণ মঞ্চের মিছিলের পর ইমরান সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল হয়েছে। এখন তাদের নিষিদ্ধ করা কোনো দুরূহ ব্যাপার নয়। এ ব্যাপারে সরকারের আন্তরিকতাই মুখ্য। আমরা বিশ্বাস করি, সরকারের সে আন্তরিকতা রয়েছে।”
সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর থেকে হরতালবিরোধী মিছিল শুরু হয়। এরপর টিএসসি ঘুরে শাহবাগ হয়ে হোটেল রূপসী বাংলার সামনে দিয়ে আবার শাহবাগে ফিরে আসেন মঞ্চের কর্মীরা।
মিছিল শেষে ইমরান সাংবাদিকদের বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত শিবিরের প্রতিটি কর্মসূচি প্রতিহত করতে সাধারণ মানুষ যাতে উৎসাহিত হয় সেজন্যই আমাদের এই মিছিল।”
মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সরকার যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রতিটি রায় কার্যকর করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
“আমরা বিশ্বাস করি, কেবল রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়েই সরকার তাদের জনগণের আস্থা ফিরে পেতে পারে। এর কোনো বিকল্প নেই।”
জামায়াতের হরতালের প্রথম দিন মঙ্গলবারও বিক্ষোভ মিছিল করে গণজাগরণ মঞ্চ।
এদিন ইমরান জানান, আগামী ১৫ অগাস্ট জাতীয় শোক দিবসের সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবে জাগরণ মঞ্চ।
এরপর শাহবাগের প্রজন্ম চত্ত্বরে সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোকচিত্র প্রদর্শনী হবে।
সন্ধ্যা ৭টা থেকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান, কবিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছে বলে ইমরান জানান।
গত ১ অগাস্ট হাই কোর্ট এক রায়ে রাজনৈতিক দল হিসাবে নির্বাচন কমিশনে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল ঘোষণা করে। রায় প্রত্যাখ্যান করে ওইদিনেই ১২ ও ১৩ আগস্ট হরতালের ডাক দেয় জামায়াত। পরে তা একদিন পিছিয়ে ১৩ ও ১৪ অগাস্ট নতুন তারিখ দেয়।
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গত ফেব্রুয়ারি থেকে আন্দোলন চালিয়ে আসা গণজাগরণ মঞ্চ একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের জন্য জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে আসছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী দল জামায়াতের প্রতিটি হরতাল প্রতিরোধেই কর্মসূচি পালন করে আসছেন মঞ্চের কর্মীরা।