রোগীর অস্ত্রোপচারে দুটি কিডনিই কেটে ফেলায় ঘটনার তদন্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল থেকে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
Published : 02 Dec 2020, 07:33 PM
বুধবার কমিশনের একটি দল গেলে তাকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও দেন হাসপাতাল পরিচালক।
বিএসএমএমইউর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার আহমেদ আমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ মানবাধিকার কমিশনের একটি টিম এসেছিল। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত, কাগজপত্র চেয়েছে; আমরা তাদের সে তথ্য দিয়েছি।”
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, “আমরা একটি অভিযোগ নিয়েছি, এই ঘটনার তদন্তে একটি টিম বিএসএমএমইউতে পাঠিয়েছিলাম। সেখান থেকে কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নেওয়া হয়েছে। এই টিমের তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরেই পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
দুই বছর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা একজন রোগীর অস্ত্রোপচারে দুটি কিডনিই কেটে ফেলায় চার চিকিৎসককে আসামি করে হত্যা মামলা হয়।
পরিচালক জানান, ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালের যে বিভাগীয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তারা কিছু সুপারিশ দিয়েছে। সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কমিটির প্রতিবেদনের সুপারিশের বিস্তারিত জানাতে চাননি পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার।
এ মামলায় শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় যে চার জনকে আসামি করা হয়েছে তাদের এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ মামুন অর রশীদ মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। তবে খুব শিগগির দৃশ্যমান অগ্রগতি পাওয়া যাবে।”
কিডনি জটিলতায় ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রওশন আরা বেগমকে ভর্তি করা হয়। অস্ত্রোপচার করে তার বাঁ পাশের কিডনি ফেলে দেওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকরা।
অস্ত্রোপচারের পর আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন রওশন আরা বেগম। পরে পরীক্ষা করে দেখা যায়, তার দুই কিডনিই নেই। মাস দুয়েক ভোগার পর তিনি মারা যান।
ওই নারীর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে তার দুটি কিডনিই ফেলে দেওয়ার প্রমাণ পাওয়ার তথ্য উঠে আসার পর এই মামলা নেওয়া হয় বলে শাহবাগ থানার ওসি জানান।
যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সেই চিকিৎসকরা হলেন- হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল (৫৫), একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. ফারুক হোসেন (৪৮), চিকিৎসক মো. মোস্তফা কামাল (৪৬) ও আল মামুন (৩৩)।