পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এক এসআই ও তার স্ত্রীর নামে থাকা দেড় কোটি টাকার সম্পদের মধ্যে এক কোটি ৩৮ লাখ টাকার সম্পদই অবৈধ হওয়ার অভিযোগ জানিয়ে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
Published : 10 Oct 2019, 12:54 AM
বুধবার কমিশনের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো. আলী আকবর বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য জানিয়েছেন।
আসামি এসআই মো. নওয়াব আলী চট্টগ্রামের দামপাড়া সিআইডি কার্যালয়ে কর্মরত, অন্য আসামি তার স্ত্রী গুলজার বেগম।
মামলার এহাজারে বলা হয়, আসামি নওয়াব আলী ১৯৯২ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত থেকে তার নিজের ও স্ত্রী গুলজার বেগমের নামে এক কোটি ৫১ লাখ ৬৬ হাজার ৮৩৪ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর মালিকানা অর্জন করেছেন।
তবে অনুসন্ধানে তাদের নামে ১৩ লাখ ১৮ হাজার ৭৬৮ টাকা মূল্যের সম্পদের আয়ের বৈধ উৎস পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে দুদক।
এছাড়া বাকি এক কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ৬৬ টাকা মূল্যের সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করে তা নিজেদের দখলে রাখার অভিযোগে দুদক আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় মামলা করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, আসামি নওয়াব আলীর নামে গোপালগঞ্জে দোতলা ভবন এবং তার স্ত্রী গুলজার বেগমের নামে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ছলিমপুরে নাল জমি, চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিংয়ে ১১০০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, লালখানবাজার এলাকায় কার পার্কিং এবং একই এলাকায় স্থাপনাহীন ভিটে-ভূমি রয়েছে।
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে জলাশয় ইজারা নিয়ে গুলজার বেগম মৎস্য চাষের প্রকল্প করেছেন বলে দাবি করা হলেও দুদকের অনুসন্ধানে তা ভূয়া প্রমাণিত হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে এজাহারে।
দুদকের ভাষ্যে, নওয়াব আলীর অবৈধ সম্পদকে বৈধ করার জন্য তার স্ত্রীর নামে ভূয়া মৎস্য প্রকল্প দেখানো হয়েছে।