বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বার্ষিক পাঁচ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট এবং বৈশাখী ভাতা গত ১ জুলাই থেকে কার্যকর ধরে আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
Published : 15 Nov 2018, 09:25 PM
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, শিক্ষকদের কল্যাণে এবং তাদের জীবনমান ও পেশাগত উন্নয়নে সরকার সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছে।
“এমপিও শিক্ষকদের ৫ শতাংশ বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ও ২০ শতাংশ বৈশাখী ভাতা কার্যকর করার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আজ (বৃহস্পতিবার) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। গত ১ জুলাই থেকে তারা এ সুবিধা পাবেন।”
এছাড়া স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা পরিচালনা নীতিমালাও প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে নিয়ে গত ৮ নভেম্বর তাদের জন্য পাঁচ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট এবং বৈশাখী ভাতার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এই ইনক্রিমেন্টের জন্য বাড়তি ৫৩১ কোটি ৮২ লাখ ৩৯ হাজার টাকা এবং বৈশাখী ভাতার জন্য ১৭৭ কোটি ২৭ লাখ ৪৯ হাজার টাকা লাগবে বলেও জানান সরকারপ্রধান।
দেশে বর্তমানে এমপিওভুক্ত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় পাঁচ লাখ শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন।
সরকার ২০১৫ সালে অষ্টম বেতন কাঠামোর আওতায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বৈশাখী ভাতা চালু করে। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাংলা নববর্ষে তাদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে এই ভাতা পান।
ওই বেতন কাঠামোতেই আগের সিলেকশন গ্রেড ও টাইমস্কেলের নিয়ম বাতিল করে ৫ শতাংশ হারে বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি বা ইনক্রিমেন্টের নিয়ম চালু করা হয়।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরাও ওই দুটি সুবিধা চেয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন। নির্বাচনের আগে আগে তাদের সেই দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।